দেবিদ্বারে বায়না করেই জমি দখলের চেষ্ঠা, একই পরিবারের তিনজন আহত
1 min readদেবিদ্বার প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া ভূইয়া গাজী বাড়ী এলাকায় বায়না করেই জমি দখলের চেষ্ঠার ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত সোমবার (১১-০৩-২৪) দুপরে মাশিকাড়া ভূইয়া গাজীঁ বাড়ী গ্রামের ফসলি জমিতে কাজ করার সময় দু-পক্ষের বাকবিতন্ডা তৈরী হলে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়৷ এ সময় হোসনেয়ারা বেগম (৫৫) হারুনুর রশিদ(৬৫) ও আনিসুর রহমান(২৫) নামে তিনজন জখম হয়৷ পরে স্থানীয়রা তাদের কে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলার স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করান৷
এ ঘটনায় জখমী আনিসুর রহমান বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করে৷ সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, উভয় পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত জেরে দীর্ঘদিন বিবাদ চলমান রয়েছে৷ সোমবার দুপুর নাগাত কয়েজন মিলে মাছ চাষের ফিসারীতে গেলে জমির স্বঘোষিত মালিকানা দাবীদার একই গ্রামের আব্দুল কাদের ছেলে রমিজ মিয়া ও কথিত বায়নাদার আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১২-১৪ জন মিলে এই হামলা চালায়৷ তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারেনা। এক কথায় তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে মাশিকাড়া গ্রামবাসী৷ তাদের এই বিবাদ মিমাংসা করার লক্ষ্যে গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাকিন খানঁ বেশ কয়েকবার মেল দরবার করেও ব্যার্থ হয়েছেন।
হামলার স্বীকার ভোক্তভোগী ৫৫ বছরের বৃদ্ধা হোসনেয়ারা বেগম সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন যাবত এই জমির মালিক আমাদের পরিবার৷ আমরা এই জমিতে চাষ করি৷ জমির সকল দলিল ও কাগজ আমাদের কাছে আছে৷ আমাদের প্রতিপক্ষ রমিজ মিয়া দীর্ঘদিন যাবত এই জমি নিয়ে পায়তারা করছে৷ যখন কোনো ভাবে কোনো কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না ঠিক তখনই আবুল কালাম নামে এক ব্যাক্তিকে দিয়ে জোর পূর্বক দখল করতে আমাদের উপর এই হামলা চালানো হয়েছে৷
জমির মালিক হারুনুর রশিদ বলেন, রমিজ অত্যান্ত খারাপ প্রকৃতির লোক৷ দীর্ঘদিন যাবত সে জমি দখল না করতে পেরে শেষে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় নিয়েছে৷ আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই৷
অন্যদিকে স্বঘোষিত জমির মালিকানা দাবীদার রমিজ মিয়ার সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,এই জায়গা আমার বাবা আমার স্ত্রী’র নামে দলিল করে দিয়েছে। পরে তারা আবার দলিল করেছে৷ হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা৷ আবুল কালামের কাছে জায়গা বিক্রির বায়না দিয়েছি৷
ঘটনায় জড়িত কথিত বায়নাদার আবুল কালামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ নয়ন মিয়া বলেন, ঘটনার সাথে যারা জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে শ্রীগ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।