১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

মিঠাপুকুরে অনিয়ম ও দূর্নীতিতে লেপ্টে গেছে শুকুরের হাট হাই স্কুল; ১৬ বছরে নাই কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন

1 min read

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি :

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা ঐতিহ্যবাহী স্কুল, শুকুরের হাট দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৪২ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুকুরের হাট এলাকার, মফিল উদ্দীন সরকার, তফিল উদ্দীন সরকার,তুষার খলিফাসহ আরও নাম অজানা এই শিক্ষানূরাগী ব্যাক্তিদের মাধ্যমে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং আজও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে, উপজেলার শুকুরের হাট এলাকাসহ আশেপাশে দূর দূরান্তে এলাকা থেকে এসে শিক্ষার স্বাদ গ্রহন করে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কালের বিবর্তনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেপ্টে গেছে, অনিয়ম ও দূর্নীতি, সুদীর্ঘ ১৬ বছরের স্কুলে নেই কোন সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন, শুধু হয়েছে , অনিয়ম,দূর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্য। অনেকেই অভিযোগ করেছেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের যোগসাজশে এই ধরণের অনিয়ম ও দূর্নীতি নজিরবিহীন, যা কখনো কল্পনাতীত।।

রংপুর ভেন্ডাবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের কোল ঘোষে, শুকুরের হাটে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অবস্হিত। গত ১৬-০৭-২০২২ ইং তারিখে দৈনিক ইওেফাক পএিকাসহ বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও অনলাইন পএিকায় প্রকাশিত হয়, মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়ন এর শুকুরের হাট দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের, হঠাৎতেই শ্রেণী কক্ষভেঙ্গে মার্কেট গড়ে তুলেন, যেখানে মাস কয়েক আগে,শ্রেণীকক্ষ গুলোতে ক্লাস চলছিলো ও শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত ছিলো, হয়েছিলো বোর্ড পরীক্ষা এসএসসি ও। এ বিষয় কে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল সমলোচনা ঝড় বয়ে চলছে আজ বদ্বি।

ক্লাস রুম ভেঙ্গে মার্কেট করায়, জমি দাতা সদস্য মরহুম মফিল উদ্দীন সরকারের একমাএ ওয়ারিশ মাকছুদা বেগমসহ এলাকার সুশীল সমাজ কোন ভবেই বিষটাকে ভালো ভাবে মেনে নিতে পারেন নি, তারা জানায় জমি দিয়েছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার জন্য মার্কেট করার জন্য নয়। দাতা সদস্যের ওয়ারিশ গন ও সুশীল সমাজ জানায়, এই মার্কেট হওয়াতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট ও বোর্ড পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের জায়গা হয় না, টিনের চালার নিচে বসে বোর্ড পরীক্ষা চালায়, এতে করে শিক্ষার্থীরা মানসিক ও শারিরীক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এবং তারা দিনাজপুর বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ ও করেন। কিন্তু সেখানেও কোন সুরহা আজ বদ্বি হয় নাই।

অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সুএে জানা যায়, উপজেলার ময়েনপুর ইউপির শুকুরের হাট নামক স্হানে ১৯৪২ সালে স্হাপিত হয়, শুকুরের হাট দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছিলো, ১৯৬৬ সালে দিকে জায়গা ও রাস্তা সংকুলান না হওয়ায়, তৎকালীন বিদ্যালয়ের অনুরোধ স্হানীয় গেনার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মরহুম মফিল উদ্দীন সরকার, বিদ্যালয় ও রাস্তা সংলগ্ন ৪৯ শতক, বিদ্যালয় পরিচালনা কাজে, ১৬-০৫-১৯৬৬ তারিখে দলিল নম্বর ২৪৯১৯ মূলে বিদ্যালয়ে দান করেন, এবং সেখানে বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ নির্মান হয়, এবং ৫০ বছর যাবৎ, সেই কক্ষ গুলো পাঠ দান কার্যক্রম চলে।

গত বুধবার ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে আলোচনায় বসে, এবং স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি, কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক ও তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি নিয়োগ বানিজ্য, ক্লাস রুম ভেঙ্গে মার্কেট নির্মানসহ বিবিধ বিষয় আলোচনা করেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক রা জানান, সুদীর্ঘ ১৬ বছরে বিদ্যালয়ে কোন উন্নয়ন নাই, শুধু লুটে পুটে খেয়েছে পকেট কমিটি করে। উওেজিত জনতার সামনে, এসব বিষয়গুলোকে জোরালো না করে, আইনি প্রক্রিয়া মাধ্যমে আগাবে বলে জানিয়েছেন, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার ১২-০৯-২০২৪ ইং তারিখে, সাধারণ শিক্ষার্থী সমাজ, বিদ্যালয়ের অনিয়ম, অসঙ্গতি, দূর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য, এবং ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ জানায়।

স্কুলের রানিং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে, তারা জানায়, স্যারেরা ক্লাস ঠিকভাবেই করায়। কিন্তু আমাদের সমস্যা,নামাজ ঘর নাই, ডিজিটাল ল্যাব নেই,নামের লাইব্রেরী আছে সেখানে কোন পরিবেশ নাই, ওয়াসব্লক নেই মেয়েদের, স্বাস্থ্য সম্মত ক্যান্টিন নাই। এই বিষয় গুলো আমাদের অতিবো জরুরী।

ছাএ সমাজের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বিদ্যালয়ের আগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে, বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাখা যাবে না। অনিয়ম, দূর্নীতি, ও নিয়োগ বানিজ্যের সাথে যারাই জড়িত, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

প্রধান শিক্ষক সেরাজুল ইসলাম জানান,আমি একাই কিছুই করি নাই, কমিটির সিদ্ধান্তে রেজুলেশন করে, সবার সম্মতিক্রমে করা হয়েছে।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন জানান, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে, এবং তারা আবেদন করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে, আইনুয়ায়ী ব্যাবস্হা গ্রহন করা হবে।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »