২৪ অক্টোবর, ২০২৪

ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

শিশুর মরদেহ উদ্ধার, সৎ মা আটক

1 min read

নেত্রকোনা প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার আটপাড়ায় দিয়া মনি (৪) নামের এক মেয়েকে হত্যার অভিযোগে সৎ মাকে আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের রাবিয়াগাতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ শিশুর লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা মর্গে পাঠায়।

এদিকে এমন ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সৎ মা মমতা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিশুটি ওই গ্রামের কৃষক শাহ আলমের প্রথম স্ত্রীর সন্তান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহ আলমের সাথে আলেয়া বেগমের বিয়ে হলে তাদের ঘরে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখে দিয়া মনি। এদিকে দু বছর পেরোতেই শাহ আলম মমতা নামের আরেক নারীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় অভিমানে দিয়ামনির মা চলে যান ঢাকায় কাজে। এদিকে গত ৫ থেকে ৬ মাস আগে মমতার কোলে আসে এক ছেলে সন্তান। মমতাও এর আগে অন্য একজনের স্ত্রী ছিলেন।

আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, শাহ আলমের দ্বিতীয় বিয়ে করায় আলেয়া অভিমান করে স্বামীর ঘরেই কলিজার টুকরা সন্তানকে রেখে ঢাকায় কাজে চলে যান।

এদিকে সতিনের কন্যাটির শরীরে অপুষ্টি দেখে স্থানীয়রা জানান, বাচ্চাটিকে অত্যাচারে রাখতো মমতা। হয়তো খাবার দিতো না। শিশুটিকে দেখেই বোঝা গেছে লিকলিকে না খাওয়ায় পুষ্টিহীনতা। প্রতিদিনের ন্যায় রবিবারেরও শিশুটি বাড়ির বাইরে খেলছিলো। এরপর নাকি সৎ মা মমতাই ধরে ঘরে নিয়ে যায়। এটা অনেকেই দেখেছেন বলেও জানান। এরপরে হঠাৎ মমতা ঘর থেকে বেরিয়ে নিজেই কান্নাকাটি করে মানুষকে জানায় মেয়েটি মারা গেছে।

পরে স্থানীয়রা এসে মমতাকেই দোষারোপ করেন। এসময় শিশুটির বাবাকেও খবর দেয়া হয়। সেই সাথে আওয়ামীলীগের সভাপতি আমাদেরকে জানালে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠাই। এলাকার লোকজন মমতার নির্মমতাকে দায়ী করছে।

তারা মনে করছেন হয়তো শিশুটিকে কিছু দিয়ে আঘাত করেও মেরে ফেলতে পারে। যে কারণে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। এদিকে ঢাকায় থাকা শিশু দিয়া মনির মাকে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি আসলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্থানীয়সহ মানবাধিকার কর্মীদের দাবী মমতার সাথে তার স্বামীকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তার নিজের শিশুকে দেখার দায়িত্ব তারও ছিলো। তাহলেই হয়তো আসল তথ্য বের হবে। অপুষ্টিতে রাখাও একটি শিশুকে নির্যাতন করার শামিল বলে তারা জানান।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »