বাবলু শেখ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে অস্ত্র-গুলি ও ককটেল বিস্ফোরক উদ্ধারসহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ২৬শে ফেব্রুয়ারী দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

এর আগে গত ৮ই ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানাধীন পাট্টা এলাকায় রোজিনা নামে এক গৃহবধু খুন হয়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শিহাব নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শিহাব রোজিনা খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। শিহাবকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পাংশা এলাকায় চুক্তির মাধ্যমে খুন করার জন্য অবস্থান করছে। সুযোগবুঝে কয়েক দিনের মধ্যে তারা একাধিক ব্যক্তিকে খুন করবে। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যের ভিত্তিতে রাজবাড়ী জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, জি.এম. আবুল কালাম আজাদ'কে অবহিত করে তাঁর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এ্যান্ড অপস্ মুকিত সরকার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব স্বপন কুমার মজুমদার এর নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে ২৫শে ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে পাংশা থানাধীন কুঠিমালিয়াট এলাকার নাছিমা নামক এক ব্যক্তি বাড়ী থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মৃত কাদের মন্ডলের ছেলে ১। মোঃ কফিল উদ্দিন ওরফে কইফে (২৭), ও তার সহযোগী মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ২। শাওন (২২) কে অস্ত্র-গুলি ও ককটেল বিস্ফোরক সহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরা দুজন
পাংশা থানাধীব কুঠিমালিয়াট পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রেপ্তার করার পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, পূর্ব শত্রুতার কারণে তারা আলাল ও মনিরুল ইসলাম নামে দুই জন ব্যক্তিকে হত্যা করার সুযোগ খুঁজতেছিল এবং হত্যার কাজে ব্যবহারের জন্য আনা অস্ত্র-গুলি ও গুলি করার পর ভীতি সৃষ্টি করার জন্য ককটেল বোমা একটি বাজারের ব্যাগে ভরে কফিল উদ্দিন ওরফে কইফে তার খালা নাছিমা বেগমের পরিত্যাক্ত টিনের ঘরের ভিতর লুকিয়ে রেখেছিলো। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে
০২ টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটারগান, ০৪ টি তাজা গুলি ও ০৬ টি অবিস্ফোরিত ককটেল বিস্ফোরক উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। এই সংক্রান্তে সূত্রোক্ত মামলা রুজু করে আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে ৷