৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

দেবীদ্বারে অপহৃত স্বামী উদ্ধারে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় সংবাদ সম্মেলন

1 min read

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

মৌসুমী গ্লামার ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লার’-এর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অপহরনের ৭ দিনেও স্বামী মো. সোহেল মিয়া(২৮)কে উদ্ধার করতে পারেনি। স্বামী উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিখোঁজ সোহেল মিয়ার স্ত্রী ও তার স্বজনরা।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ তুলে ধরেন অপহৃত সোহেল মিয়ার স্ত্রী হালিমা খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে দেবীদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের দরিদ্র রিক্সা চালক হারুন মিয়ার মেয়ে বিউটিশিয়ান হালিমা খাতুন জানান, আমার বাবা চট্রগ্রামে থাকায় সেখানেই বিউটি পার্লারের কাজ শিখি, পরবর্তীতে দেবীদ্বার এসে ‘মৌসুমী গ্লামার ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে’ চাকুরি নেই, এখানে প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করে আসছি। এরই মধ্যে ৭ বছর পূর্বে আমার সাথে ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার বেজোড়া গ্রামের মো. সোহেল মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। তারপর থেকে পার্লারের মালিক মৌসুমী ও তার স্বামী নজরুল ইসলামের সাথে আমার সম্পর্কের অবনতী ঘটতে থাকে। আমি অন্য পার্লাারে কাজ করতে চাইলে দেবীদ্বার কাজী বাড়ির সুমন কাজী ও তার বাহিনীর হুমকীতে পড়ি। এক পর্যায়ে আমাকে নানা অভিযোগে পুলিশের ভয় দেখানো হয়, আমার থেকে ননজুডিশিয়াল ৩০০ টাকার খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে। কাজী সুমন তার দলবল নিয়ে পার্লারে আসে আড্ডা দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে ওই ষ্ট্যাম্প দিয়ে একাধিকবার পুলিশের হুমকী দেয়। প্রতিবাদ করলে আমাকে অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং গৃহবন্দী করে রাখে। আমার আড়াই বছরের শিশু বাচ্চা আদিল ইসলামের অসুস্থ্যতায় চিকিৎসা করতেও দেওয়া হয়নি। পরে কুমিল্লা (উঃ) জেলা যুব মহিলালীগ সদস্য তানিয়া সুলতানা বিথি ও আমেনা আক্তার সুমির সহযোগীতা চাইলে তারা আমাকে ওই পার্লার থেকে উদ্ধার করেন। মৌসুমী আক্তারের ভাড়াটে সহযোগী কাজী সুমন ও তার নেতৃত্বাধীন বাহিনী এতে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। গত ২২ তারিখ আমার স্বামী সোহেল মিয়া এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে এবং ৯ মাসের বকেয়া বেতন চাইতে গেলে- কাজী সুমন, মৌসুমি ও তার স্বামী নজরুল আমার স্বামীকে হুমকী দিয়ে বলে এঘটনার জের তোমাকে পোহাতে হবে। ওই দিন বেলা ২টা থেকে আমার স্বামী নিখোঁজ হয়ে যান। আমি অনেক খোঁজা খোজি করে অবশেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী দেবীদ্বার থানায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে আমার স্বামীকে অপহরণ ও গুম করার অভিযোগে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও এখন পর্যন্ত আমার স্বামীকে উদ্ধার করতে পারেনি। এ অবস্থায় স্বামী উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মৌসুমী গ্লামার ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লার’র পরিচালক মৌসুমি আক্তারের ফোনে বাব বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, হালিমা খাতুনের বাবা মো. হারুন মিয়া, মা- নাছিমা বেগম, নানি মমতাজ বেগম এবং কুমিল্লা (উঃ) জেলা যুব মহিলালীগ সদস্য তানিয়া সুলতানা বিথি ও আমেনা আক্তার সুমি।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত কাজী সুমন জানান, বাসা ও বাড়ি নির্মানে মৌসুমী ও তার স্বামীর কাছ থেকে খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেয়, ওই টাকা না দেয়ার অজুহাতে এ সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। 

এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নয়ন মিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি অপহরণ/গুম কিংবা আত্মগোপনে আছে কি না তা নিশ্চিত হতে আমাদের সময় লাগবে। তদন্তের পরে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে। তবে অভিযোগকারী পার্লারের বাহিরেও তার পারিবারিক কাজ করা নিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »