দেবিদ্বারে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, র্যাব অভিযানে ধর্ষক গ্রেফতার
1 min readদেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ইং কুমিল্লার দেবিদ্বারের বিহারমন্ডলে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১ টি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮, তারিখ-৩০/১২/২০২৩। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ এর বিশেষ অভিযানে গত ৩০ মে ২০২৪ইং তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ই.পি.জেড এলাকা হতে ধর্ষক মোঃ দুলাল (৫০) কে আটক করে র্যাব -১১ কুমিল্লা।
আটককৃত দুলাল দেবিদ্বার উপজেলার বিহারমন্ডল(খাঁ বাড়ির) মৃত আব্দুল বারেক মিয়ার পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতা বিদেশ প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। ভিকটিম স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। ঘটনার দিন ভিকটিম তার বাড়ির পাশের বিলে ছাগল চরাতে গেলে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে ২০০০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে পাশের একটি পানের বরজে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে খুজতে বিলে উপস্থিত হয়ে তার মেয়েকে খুজে না পেয়ে একসময় পান বরজের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় ভিকটিমের মা পানের বরজের কাছে এসে তার মেয়ের নাম ধরে ডাক দিলে ভিকটিম পান বরজের ভিতর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে আসে এবং ভিকটিমের কান্না শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনৈক ব্যক্তি ভিকটিমের মাকে জানায়, সে আসামী মোঃ দুলালকে পানের বরজ হতে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে এবং ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানান, ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামীর প্রতিবেশীর মেয়ে এবং পূর্ব পরিচিত। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী দুলাল তার অসৎ কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সন্ধ্যায় ভিকটিমকে ২০০০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পানের বরজে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিকটিম চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামী দুলাল তার মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে ভিকটিমের মা কর্তৃক ভিকটিমের নাম ধরে ডাক শুনতে পেয়ে আসামী দুলাল ভিকটিমকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করেন।
পরে র্যাব -১১ কুমিল্লা গ্রেফতারকৃত আসামীকে দেবিদ্বার থানায় হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জানান, শিশু ধর্ষণের আসামীকে আমরা জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।