২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

মামলা নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ – মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশের

1 min read

★এ বিষয়ে মামলা করেছি, থানা থেকে বাড়িতে পুলিশ আসছে–অভিযুক্ত রাশেদ।

★তদন্ত কর্মকর্তার নাম বলতে অপরাগ- অভিযুক্তের এ ধরনের কোন মামলন হয়নি – — মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বেতিয়াপাড়া গ্রামের ডাক্তার বাড়ির মৃত : আব্দুল আজিজ মুন্সীর ছেলে শামসুল আলম লিটন (৪০) পূর্ব শত্রুতার জেরে তার চাচাতো ভাই শেখ ফরিদের ছেলে রাশেদ (২২) বহিরাগত সন্ত্রাসী হাটিরপাড় গ্রামের: সাদ্দাম (২৫) মোজাম্মেল (২২) আব্দুর রহিম (৬০) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে গত ২৯/০৬/২০২৪ ইং তারিখ ভোর ৫. ০০ মিনিটে শামসুল আলম লিটনের ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে ঘুমন্তঅবস্থায় বেদড়ক ভাবে এলোপাতারিভাবে এস এস পাইপ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দ্যেশে তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে মারধর করেন এবং গলা টিপে হত্যা করার চেষ্টা করে।

তখন শামসুল আলম লিটন তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য চিৎকার করলে তার পাড়া প্রতিবেশি এবং স্থানীয় লোকজন এসে তাকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে। শামসুল আলম লিটনকে উদ্ধার করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হামলাকারীরা যাওয়ার সময় তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

ঘটনার সূত্রে যানা যায় লিটন কিছুদিন পূর্বে ২৮/০৬/২০২৪ ইং তারিখে ২ লক্ষ টাকা মিশুক ক্রয় করার জন্য আত্মীয়ের নিকট থেকে দার করেন।
সেই টাকা রাত্রে ঘুমানোর সময় তার বিচানার নিচে রাখে। হামলাকারীরা তাকে বেদড়ক ভাবে মারার পরে তার হাতে থাকা ভিভো মোবাইল এবং তার বিচানার নিচে রাখা ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
শামসুল আলম লিটন বলেন, তারা আমাকে পূর্ব থেকেই হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে, তারা আমাকে হত্যা করে ফেলবে। এর আগেও তারা আমার উপর হামলা করেছে। এইবার তারা সুযোগ পেয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমার উপর প্রানে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা করে।

তিনি বলেন হামলাকারীরা উল্টো আমার বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। যেখানে আমি ভূক্তভোগী, সেখানে আমি আসামী, পুলিশ একাধিকবার আমাকে গ্রেফতার করতে আমার বাসায় গিয়েছেন। আমি বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে আছি। আজ ০২ জুলাই ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে থেকে ছাড়পত্র দেয়।

তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট বিনীত আবেদন জানান।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ ফরিদের ছেলে কে মুঠো ফোনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা থানায় মামলা করেছি মনোহরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছেন। তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম বলতে অপরাগ।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানায় এ ধরনের কোন মামলা হয়নি।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »