১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

মামুনের বেগমপুর বাওড়ের মাছ ও খামারের গরু হরিলুট

1 min read

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানীর স্টাফ ছোটো শলুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত বেগমপুর বাওড়ের সব মাছ তিনধরে লুটপাট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। একইসাথে মামুনের গরুর খামার থেকে ২৪ টি গরু লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দূর্বৃত্তরা সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে ডিভিআর মনিটর নিয়ে যায়।

এছাড়া বেগমপুর বাওড় সংলগ্ন মাছের খাবার রাখার গোডাউন ও অফিসে ভাংচুর চালিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ফিস ফিড নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ এই লুটেরারা।

অনুসন্ধানে জানা যায় ৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর সন্ধ্যা থেকে এসব স্থানে লুটপাট শুরু হয়ে চলে ৭ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।

একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন চুয়াডাঙ্গা জেলার দায়িত্বরত সেনাক্যাম্প প্রধানের নিকট মোবাইলে অভিযোগ করলে দ্রুত সেনাবাহিনীর সদস্যরা বেগমপুর এসে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এ বিষয়ে সর্বস্ব খোয়ানো আব্দুল্লাহ আল মামুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি এখন সেনাবাহিনীর প্রাণপণ সহযোগিতায় বাওড় ফিরে পেলেও– বাওড়ে কোনো মাছ নেই, গরু খামারে গরু নেই, মাছের সমস্ত খাবার লুটেরারা নিয়ে গেছে বলে মামুন কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় মামুন আরও বলেন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে মৎস্য চাষ, কৃষি ও গরু খামারের পিছনে প্রায় ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম কিন্তু আজ আমি পথের ফকির। কিভাবে ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ করবো, কিভাবে আবার ঘুরে দাঁড়াবো আমি জানিনা। তিনি বলেন, তাছাড়া আমার মৎস্য কৃষি ও গরুর খামারে প্রতিদিন ৩০/৩২ জন মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা হতো তাদের ভবিষ্যতও আজ পুরোপুরি অনিশ্চিত।

এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে বেশ কজন গ্রামবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এসব লুটপাটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সাধারণ এলাকাবাসীকে ক্ষেপিয়ে তুলে বেগমপুর কলোনীপাড়ার ভাঙারি শাহিন, ফরহাদ ও শহিদুল।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »