১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

বাগেরহাটে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে সাংবাদিকের বাড়িতে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ হামলা

1 min read

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সরকার পতনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশবিহীন মাঠে এক শ্রেণির সুযোগসন্ধানী দুষ্কৃতিকারীরা বাগেরহাট জেলার শরনখোলার এক সাংবাদিকের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাঙচুর করেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় শরনখোলা উপজেলার ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া রাজাপুরগ্রামের বাসিন্দা সুলতান হাওলাদারের বাড়ির সাংবাদিক আলী আজগরের বসতঘরে ফিল্মি স্টাইলে ভাঙচুর করে স্থানীয় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী।

শুধু ভাঙচুরে থেমে থাকেনি সন্ত্রাসীরা। একপর্যায়ে সাংবাদিক আলী আজগরের স্ত্রী সুরভী আক্তারকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে মহাসড়কের উপরে মারধর সহ ৭ বছরের ছোট্ট শিশু সিয়ামের উপরেও হামলা চালায় সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক আজগর আলী রাজধানীতে দৈনিক প্রতিদিন খবর পত্রিকায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর সাংবাদিক পরিবার জানান, ঘটনার সময় ঘরে থাকা আসবাবপত্র, স্বর্ণ অলংকার, নগদ অর্থ লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা। তাদের বাধা দিতে গেলে সাংবাদিক আলী আজগরের স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলো স্থানীয় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন মানিক! এবং তার নেতৃত্বে ওই হামলা পরিচালিত হয়। সাংবাদিক আলী আজগরের স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করে থেমে থাকেনি সন্ত্রাসী বাহিনী। একপর্যায়ে ঘরে থাকা নগদ অর্থ এবং স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম ২ ঘন্টা পরে সেখানে উপস্থিত হয়। ততক্ষণে সন্ত্রাসীরা ঘর লুট করে এবং ঘরে থাকা আসবাব পত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাঙ্গচুর করে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক আলী আজগরের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি রাজধানীতে অবস্থান করাকালীন সময়ে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীরা তার পরিবারের উপরে আক্রমণ এবং ভাঙচুর করে। তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকেন। আমি খবর পেয়ে সাথে সাথেই আইনের আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু এখনো আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমি প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগীতা কামনা করছি।

সংবাদ প্রচারের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে শরনখোলা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, আমাদের টীম ওখানে গিয়েছিল, এবং আমাদের সাথে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেনসহ টীম ছিল। পরবর্তীতে ইউএনও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে কেউ যদি হামলার শিকার হয়ে মামলা দায়ের করতে আসেন, তাহলে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেকোনো ধরনের প্রশাসনিক সহায়তা করতে।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »