নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নানামুখী প্রতিকূলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলা করে সাগর পাড়ে বসবাস করছে হাজারো খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ। জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে সাগরের তীরে ভেসে বেড়ানো এই ভূমিহীন মানুষ গুলো একটু সুখের আশায় কতনা হাহাকার, জীবিকার তাগিদে সাগর পাড় এলাকায় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে করছে কষ্টসাধ্য বসবাস। অন্নের যোগান দিতে সাগর পাড়ে চাষাবাদ করে চলে তাদের বেঁচে থাকার লড়াই তারপরও একটু সুখের আশায় বুক বাঁধে এই অসহায় মানুষগুলো।
কিন্তু শত শত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার পরও যেনো দুর্যোগ দুর্ভোগ কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না তাদের। বর্তমানে এমনি কিছু প্রাকৃতিক দূর্যোগ এর সম্মুখীন হয়েছে নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষগুলো। আর এই দূর্যোগ গুলো নাম হলো ভয়ভীতি,উচ্ছেদ,হয়রানি ও হুমকি যা রীতিমত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যার প্রয়োগ ঘটেছে চট্রগ্রামের আকমল আলী বেড়িবাঁধ রোডের সিডিএ টোল রোডস্থ ব্রিজ এর গোল চত্বর এলাকায় ভাসমান বসবাসকারীদের উপর। আর এই ভয়ভীতি,উচ্ছেদ,হয়রানি ও হুমকি বিষয়ে অভিযোগ উটে এসেছে জৈনক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যার নাম নুর হোসেন। যিনি নিজেকে পরিচয় দেন একজন কোস্ট গার্ডের গাড়িচালক হিসাবে। এবং এই পরিচয়ে নুর হোসেন অসহায় খেটে খাওয়া মানুষদেরকে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে তাদের কে জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে জায়গা দখল করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নুর হোসেন সিডিএ টোল রোডস্থ ব্রিজ এর গোল চত্বর এলাকায় জায়গা দখল করে একটি টিনশেড গৃহ নির্মাণ করেছে এবং সেখানে প্রতিনিয়ত করছে ইয়াবা সেবন ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড। যেহেতু তিনি নিজেকে কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন সেহেতু এলাকার লোকজন তার বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। কেউ যদি তার এইসব অসামাজিক কর্মকান্ডের বিষয়ে প্রতিবাদ করে তিনি তাদের ভয়-ভীতি হুমকি প্রদর্শন করেন। এলাকায় যারা চাষাবাদ করেন নুর হোসেন তাদের ক্ষেত থেকে বিভিন্ন ফসল নিয়ে যান কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের যে প্রাণনাশের হুমকি প্রধান করেন।
নূর হোসেন নামের এই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ নুর হোসেনের জোর জুলুম সম্পর্কে এলাকার লোকজনের কাছে জানতে চাইলে ভুক্তভুগী এক নারী জানান,নুর হোসেন প্রায় আমাদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছে, তার অত্যাচারে বর্তমানে এখানে বসবাস করা আমাদের ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। তাকে কোন কথা বলা যায় না কিছু বললেই আমাদেরকে উচ্ছেদ করে দিবে বলে হুমকি প্রদান করে। আমাদেরকে বলে চোখ কান বন্ধ রেখে থাকতে পারলে থাক নাহলে এখান থেকে উচ্ছেদ করে দিব।
নূর হোসেনের হাতে জুলুমের শিকার ভুক্তভোগী আরেক নারী বলেন, নুর হোসেন প্রায় সময় বলে আমি সরকারি লোক তোরা জায়গা ছেড়ে দে এগুলোতে আমি ঘর তুলব আমরা যাবো না বললে নুর হোসেন বলে আমার সাথে বাড়াবাড়ি করে পারবি না ভালোভাবে বলছি চলে যা না হলে খারাপ হবে।
আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, নূর হোসেন প্রায় সময় এখানে আসেন এবং এখানে যারা চাষবাস করেন তাদের ফসলের জমিতে ফসল উৎপন্ন হলে বা মাছ চাষ করলে তিনি তা নিয়ে যান। তিনি যখন এই ঘরটি নির্মাণ করেছেন তখন তিনি বলেন এখানে কোস্ট গার্ডের অফিস হবে কিন্তু আমরা কখনো কোন কোস্ট গার্ড কর্মকর্তাকে দেখিনি এখানে তিনিই সব সময় আসতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকায় বসবাসকারী এক ব্যক্তি জানান, নুর হোসেন এই ঘরের ভিতরে মধ্যে মদ, গাজা, ইয়াবা সেবন করে এবং প্রায় সময় বাইরে থেকে খারাপ মেয়েদের নিয়ে এসে অসামাজিক কার্যকলাপ করে।
এলাকায় মা বোনদের নিয়ে আমরা অনেক কষ্টে দিন যাপন করছি।
বদি আলম নামের এক ব্যাক্তি জানান, নুর হোসেনের কারনে আমরা কোন ধরনের আবাদ করে শান্তি পাচ্ছি
সে এসে সব সময় আমাদের ক্ষেতের ফসল গুলো নিয়ে যায়। আমরা তার কাছে অসহায় তাকে কিছু বলতে পারি না। নূর হোসেনের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা সরকারের সুদৃষ্টি প্রার্থনা করছি।
অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে গিয়ে নূর হোসেনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
জমি দখলের বিষয়ে কোস্ট গার্ডের একাধিক ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তারা জানায় কোস্ট গার্ড কখনো জমি দখল বা বেদখলের সাথে সম্পৃক্ত হয়না।
এই বিষয়ে জোনাল কমান্ডার পূর্ব এর স্টাফ অফিসার খলিলুর রহমান এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে নুর হোসেনের বিষয়ে গোয়েন্দা তদারকি করা হচ্ছে আমরা তদন্ত করছি তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে ভুক্তভোগীদের একটাই প্রত্যাশা সরকারের সঠিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই মিলতে পারে সঠিক সমাধান।
প্রধান সম্পাদকঃ সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান রিয়াদ
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৪/২৫, সাধারণ বীমা ভবন, দিলকুশা বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
হট লাইনঃ +880 1568 945 305