মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি:
গত দুই দিনে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৮১ মিয়ানমারের সেনা সহ সেই দেশের পরাস্ত সৈন্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা গত ১৬/১৭ এপ্রিল উপজেলার সদর ইউনিয়নের জামছড়ি লেবুবাগান ও বড চনখুলা ৪৪/৪৫ নং পিলার দিয়ে ১৬ এপ্রিল নতুন করে কয়েক দফায় ১৭ আরও জন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এবং একই দিন সর্বশেষ রাত ১২ টার মধ্যে মিয়ানমারের ৪৬ সেনা সদস্য সীমারেখা অতিক্রম করে প্রাণের ভয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে।
পরে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে প্রথমে সীমান্তে চেরার মার্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেওয়া হয় বলে সীমান্তে বসবাসকারী খলিল ও ফরিদ জানান। পরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আশ্রয় নেওয়া মোট ৬৩ সেনা সদস্যকে সর্বশেষ ১৭ এপ্রিল ভোরে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করছেন। উল্লেখ্য এর আগে আসা ১৭৭ জন সহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৬০ জন মিয়ানমারের সেনা সহ জান্তা বাহিনীর সদস্যকে এখন নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের দেশের বেশ কয়েকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে চলে আসা তুমুল যুদ্ধ ও চলমানে সংঘর্ষের কারণে বিদ্রোহী সশস্ত্র গ্রুপের সঙ্গে যুদ্ধ ময়দানে টিকতে না পেরে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় সেই দেশের সেনা ও বিজিপির ৫৯০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ৩৩০ জনকে সাগর পথে মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হলেও বাকিদের কখন ফেরত পাঠানো হবে তা এখনো জানা যায়নি।
প্রধান সম্পাদকঃ সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান রিয়াদ
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৪/২৫, সাধারণ বীমা ভবন, দিলকুশা বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
হট লাইনঃ +880 1568 945 305