ছাদিয়ান আহমদ:
উন্নত জিবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশীরা বৈধ অবৈধ পথে পাড়ি জমান ইতালি ফ্রান্স স্পেন সহ সেন্ট্রাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এখানে আশার পরে শুরু হয় বিভিন্ন রকমের দুর্ভোগ।পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে আসা এইসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের কোনো কাজের দক্ষতা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে থাকতে হয় বেকার।বেকারত্বের এই হতাশায় অনেকে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ইতালি প্রবাসী মোহাম্মদ আবু বক্কর দীর্ঘ ১ বছর কর্মহীন অবস্থায় থাকার পর বেকারত্বের হতাশায় আত্মহত্যা করেন। নিহত মোহাম্মদ আবু বক্কর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাডাঙ্গা ইউনিয়নের সদাবরি গ্রামে ঈদগাহ পাড়ার সওদাগর মন্ডলের ছেলে। তিনি মধ্যপ্রাচ্যর দেশ দেশ দুবাই থেকে ওমান হয়ে পায়ে হেটে দুর্গম পথে জিবনের ঝুকি নিয়ে বাইরোডে গ্রিসে প্রবেশ করেন।দীর্ঘ ৭ বছর গ্রিসে অবৈধ থাকার পর বসনিয়া হয়ে অবৈধ পথে ইতালি পাড়ি জমান। সেখানে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কর্মহীন থাকেন ১ বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণন করা হচ্ছে বিশাল ঋণের বুজা ও পারিবারিক টানাপোড়নের কারনে তিনি আত্মহত্যা করেন।উল্লেখ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশটির রাজধানী রোমের অস্ট্রিয়া এলাকার একটি পার্কে বক্করের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারী কুমিল্লার বারিক মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া(২৫) ৭ মাস ধরে কোনো কাজ না পেয়ে বেকার থাকার পর আত্মহত্যা করেন তিনি।রাজধানী রোমের তুসকোলানা জুলিও আগ্রিকোলা পার্কের একটি গির্জার পেছনে গির্জার পেছনে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে এক পথচারী তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। নিহত সুমন মিয়া কৃষি ভিসা নিয়ে বৈধ পথে উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমিয়েছিলেন সপ্নের দেশ ইতালিতে। কাজের দক্ষতা না থাকায় উন্নত জিবনের সপ্ন দুঃসপ্নে পরিণত হয়। ইউরোপে কর্মরত সাংবাদিক লোকমান হোসেন জানান, এখানে আসা বেশিরভাগ বাংলাদেশীদের কর্মদক্ষতা ও বৈধ ডকুমেন্ট না থাকায় পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। তিনি কর্মদক্ষতা নিয়ে বৈধ পথে বিদেশ আসার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃস্টি আকর্ষণ করেন।
প্রধান সম্পাদকঃ সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান রিয়াদ
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৪/২৫, সাধারণ বীমা ভবন, দিলকুশা বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
হট লাইনঃ +880 1568 945 305