১৩ নভেম্বর, ২০২৪

ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

দখল বাণিজ্যে বেপরোয়া মুজাহিদ রিপন ও হাবিব গং

1 min read

খিলক্ষেত এলাকার দখলবাজের হোতা কথিত মুজাহিদ রিপন

ক্রাইম রিপোর্টার

গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি বাস্তবায়ন করতে প্রাণ হারায় বহু ছাত্র- আমজনতা। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ নামের ছাত্র সংগঠনটির নাম ভাঙিয়ে দেশের নানা স্থানে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী,দলীয় ক্লাব ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-প্রধানদের হেনস্তা,অপমান অপদস্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি এই সমস্ত থাবা থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদিক সংগঠন খিলক্ষেত প্রেসক্লাব এবখ খাঁ পাড়া রোডের পুলিশ বিটও।
ক্লান্তি সময়ে পুলিশ যেখানে বসে একটু সময় কাটাতো মালামাল লুটপাট সহ জায়গাটিও দখল করে নিয়েছেন মুজাহিদ কমিটি সদস্য নেতৃবৃন্দরা। এমন পরিস্থিতিতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেও পারছেন না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্লাটফর্ম একটি সফল গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের অর্জিত এ সাফল্যকে ধরে রাখতে হলে সমন্বয়কদের আরো সজাগ থাকতে হবে।
অভিযোগ উঠেছে ছাত্রও বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে নিজেকে খিলক্ষেত থানা মুজাহিদ কমিটির খিলক্ষেত থানা -সভাপতি পরিচয় দিয়ে দখলে বেপরোয়ায় উঠেছেন ভূমিদস্য রিপন/হাবিব গং,সদস্য নেতৃবৃন্দরা।
রেলওয়ের সরকারি সম্পত্তি বাপ দাদার সম্পত্তি বলে দখল বাণিজ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মুজাহিদ কমিটির সভাপতি রিপন ও হাবিব গং। রিপনের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে কালামের মুরগির দোকান, ডালিম ব্যাপারীর হালিম ও ডাবের দোকান, বিসমিল্লাহ ভাতের হোটেল, লেপ তোষকের দোকান, হোন্ডা গ্যারেজ, ধর্মিক প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের নামে গড়ে তুলেছে দখল বাণিজ্যের ব্যবসা। নিয়ম শৃঙ্খলা না মেনে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ টানা লাইন দিয়ে বিভিন্ন দোকানের প্রতি তোলা হয় চাঁদা।
সরেজমিনে দেখা মিলে হাবিব খানের লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ভাঙ্গারির ব্যবসা অজনা তথ্য। দোকানের আড়ালে চোরাই মাল কিনা বিক্রি সহ দখল বাণিজ্যের চিত্র। ছয় মাস আগে হাবিবের ভাঙ্গারির দোকানে অবৈধ তেলের আগুনে ৫০ জন আহত হয়। লন্ডভন্ড হয়ে যায় আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবুও কিছুই হয়নি হাবিব খানের।
ভুক্তভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ মুজাহিদ কমিটি সভাপতি রিপন বংশ সূত্রে বিক্রমপুর হলেও নিজেকে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা দাবি করেন। দখল বাণিজ্যে তিনি সবার থেকে অন্যরকম ঠান্ডা মাথার খেলোয়াড়।
তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদকর্মীকে প্রকাশ্যে হুমকি দেন রিপন যার অডিও ভিডিও রয়েছে আমাদের দপ্তরে।সরকার পতনের বেপরোয়া রূপ নিয়েছেন রিপন।
বাড়ির সামনে ক্লাবের নামের টর্চার সেল গড়েছে তিনি। সন্ধ্যার পর এখানে বসেই বিচার সালিশ করেন। মুজাহিদ কমিটির দোহাই দিয়ে খিলক্ষেত প্রেসক্লাব ভাংচুর সহ অজস্র দোকানপাট দখল করেন তিনি। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয় তার নামে, তাতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগকারীকে প্রাণে মেরে ফেলবে হুমকি দেন।
তথ্যসূত্রে পাওয়া খবর প্রতিটি দোকান থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেন কথিত কয়েকজন মুজাহিদ বাহিনী। দৈনিক ভাড়া এবং মাসিক ভাড়া হাবিব খান রিপন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, রাজউকের অনুমোদনবিহীন ভাবেই বাড়ির পাশে গড়ে তুলছেন বিশাল এক ভবন! যার সম্পূর্ণ বেশিভাগ রাজউকের অনুমোদন বিহীন। ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা যায়। সেখানে নেই কোন রাউজকের সাইনবোর্ড, ব্যনার, টুলেট, সম্পন্ন নাম্বার, বিহীন ভবনের নির্মাণাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। ভবনটির রাস্তা আশেপাশে মানুষের চলাচল। দিনরাত যাতায়াত মানুষের থাকলেও তবুও ভবন নির্মাণে নেই সুরক্ষিত কোন ব্যবস্থা।
মুজাহিদ কমিটির সভাপতি দম্ভে দখলবাজ রিপন হাবিব গং ক্ষমতার বাহাদুরিতে থেমে থাকিনি বংশের লোকজনও। অভিযোগ মানসম্মানের ভয়ে অনেকে চুপ মেরে বসে আছে। এভাবে দল বেঁধে দখল চালাচ্ছেন রিপন, হাবিব গং, আতিক, আনোয়ার, বাচ্চু, সাইফুল,পিচ্ছি রাসেল, রনি সহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জন।
সরকারি রেলওয়ে জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মুরগির বাজার, শুটকির দোকান, ফল সহ ইত্যাদি। সাংবাদিক সংগঠন, খিলক্ষেত প্রেসক্লাব ভন্ড মুজাহিদ শকুনের হিংস্রতায় লন্ডভন্ড হয়। খিলক্ষেত থানা মুজাহিদ কমিটি সদর খিলক্ষেত থানা -সভাপতি পরিচয় দেন রিপন। ট্রেড লাইসেন্সবিহীন (কালাম) হজ্জ কাফেলা এন্টার ট্রাভেলস ব্যবসায়ী সাথে জড়িত রিপন।
চরমোনাই মোজাহিদ খিলক্ষেতের রিপন। ইতিপূর্বে যোগাযোগ মাধ্যম খিলক্ষেত প্রেসক্লাব ভাঙচুর লুটপাট সংবাদ প্রকাশ হয়। খিলক্ষেত থানা দখলবাজ রিপন ও বংশের কিছু লোকদের দখল বাণিজ্য নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন খিলক্ষেত প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বাধীন সরকার ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। খিলক্ষেত থানা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থানীয়দের নজরে আসলে ও কাউকে পাত্তাই দিচ্ছে না দখলবাজ রিপন।
খিলক্ষেত প্রেসক্লাব ভাঙচুর লুটপাট বিস্তারিত নিয়ে থানায় বৈঠক হয়, গত ৫ তাং বৈঠকে তদন্ত কর্মকর্তা সংবাদকর্মীদের ক্লাব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও রিপনের ইশারায় তাও হয়নি। খিলক্ষেত থানা মুজাহিদ কমিটি খিলক্ষেত থানা -সভাপতি রিপনের কান্ডে পুলিশ অসহায় বর্তমান পরিস্থিতিতে।
( রিপনের দখল বানিজ্য থামানোই যাচ্ছে না )
খিলক্ষেত প্রেসক্লাব দখল নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে কয়েকবার মুঠোফোনে কথা হয়েছিল স্থানীয় থানা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিতে বলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তখনই সম্পূর্ণ বিস্তারিত ঘটনা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সভাপতি সহ নেতৃবৃন্দরা, এভাবেই চলছে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট খিলক্ষেত প্রেসক্লাব দখল করে নেন চরমোনাই এর নাম বিক্রি করে খাওয়া এই নেতা। সরকার পতনের পর রাজহাঁসের মত যা পায় তা নিয়ে ব্যস্ত ওরা!!
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে মাছ বাজার, কাঁচাবাজার, ফলের দোকান, ডিম পট্টি, মুরগির দোকান, মাছ বাজার, বিএনপির দলীয় ক্লাব,মুজাহিদ কমিটি টর্চারসেল, জাতীয় পার্টির কার্যালয়, শুধু নেই সাংবাদিক সংগঠন খিলক্ষেত প্রেসক্লাব।
এক ভুক্তভোগী বলেন প্রতি মাছ বাজার থেকে দোকান প্রতি ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা এডভান্স নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরেকজন দোকানি জানালেন, আগের মতোই তিনি পাঁচশত টাকা করে চাঁদা দিচ্ছেন। আমি একদিন দিছি চারশত টাকা। পরের দিন দোকান খুলি নাই, টাকাও দেই নাই। আজকে খুলছি, এখন টাকা দেয়া লাগবে।”
বাংলাদেশে কোনো একটি সরকার পরিবর্তনের পর ব্যক্তির বদল ঘটলেও দুর্নীতি, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি কিংবা দখলের যে পুরনো ব্যবস্থা, সেটার পরিবর্তন খুব একটা হয় না। সর্বোপরি যাকে বলা হয় লাউ আর কদু, শব্দ একই পার্থক্য শুধু উচ্চারণে, দখল বাণিজ্যে অন্য সংগঠনের নাম থাকলেও মাঠে গিয়ে দেখা যায় মুজাহিদ বাহিনী অন্যরকম ভূমিকায় মাঠ পর্যায়ে……

( বিস্তারিত পড়তে দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাখুন )

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »