নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুমন নাসির ফেসবুকে এক আবেগ-প্রবণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগ করি আমরা টাকা পাবো কই। কিন্তু অনেকে এখন ছাত্ররাজনীতিতে টাকা ব্যবহার করে ছাত্রদের উপকার না করে ছাত্রদেরকে টাকা দিয়ে তাদেরকে বিপথগামী করছে।ছাত্র রাজনীতিতে টাকা দেখিয়ে রাজনীতি করনোটা অপরাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়।
তার স্ট্যাটাসটি ছিল যে, ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে সকল ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করা তাদের ব্যাপারে মানবিক হওয়া।আমাকে সাধারন জনগনের ও গরীব দুঃখীদের পাশে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তো আমার নেতা দায়িত্ব দেয় নি আর আমার বয়স ও হয়নি।আর করি ছাত্রলীগ টাকা পাবো কই।নীতি আদর্শ ঠিক রেখে রাজনীতি করে যাই ছাত্রদের পাশে থেকে প্রতিনিধিত্ব করে যাই,অধিকার আদায়ের কথা বলে যাই।আমাদের নেতা ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় নীতি,আদর্শ ঠিক রেখে শতভাগ রাজনৈতিক ও নেতার প্রশ্নে আপোষহীন মনোভাব নিয়ে রাজনীতি করে যাই এবং যাচ্ছি।কোন ছাত্রলীগের বড় ভাই কত টাকা খরচ করে মানুষদের খাওয়াচ্ছে।গরীর দুঃখিদের জন্য ওনার ভালোবাসার শেষ নেই এগুলো আমাকে যখন বলতে আসো(খেটে খাওয়া কর্মীরা) আমি তখন কস্ট পাই না আমার বিরক্ত লাগে কারন আমার নেতা তো আমাদের এই দায়িত্ব দেয়নি।টাকার উপর টাকা ঢালে কথার আগেই টাকা দিয়ে আর কথা শুনতে চায় না তো আমি কি করবো? আমি তো ছাত্রদের সমস্যা অধিকার আদায়ের বিষয়ে স্বোচ্ছার এবং আমি মনে করি ছাত্রলীগের কাজই হচ্ছে এটা।তোমরা আমাকে ভুল বুঝো না ছোট ভাইরা আমরা এক নীতিতে বিশ্বাসী এবং নেতার প্রশ্নে আপোষহীন। ওই ধরনের ইনফরমেশন কিংবা কথা থাকলে ঘন্টার পর ঘন্টা শুনে যাবো।কিন্তু টাকা ছিটানোর কথা বলতে এলে আমরা বিব্রত ও বিরক্তকর পরিস্থিতে পরে যাই।যিনি টাকার উপরে টাকা ছিটাই ওনি কি টাকা দিয়ে নীতি, আদর্শ ও কর্মীদের মনের ভালোবাসা কিনতে পেরেছে কিংবা পারবে? ওনাকে ছিটাতে দাও ওনি টাকা ছিটিয়ে ছিটিয়ে হয়তো পৈশাচিক আনন্দ পায় কারন ওনার তো অনেক টাকা।
আমাদের নেই মেনে নাও মেনে নিতে হবে।