নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ পোনরা আব্দুল কাদের চেয়ারম্যান (মনা গাজী) বাড়ি পাঞ্জেগানা মসজিদ ও যুব সমাজের উদ্দ্যোগে আয়োজিত তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাহলুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে আগত হযরত মাওলানা শুয়াইব আহমদ আশ্রাফী।
মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে তাফসির পেশ করেন নেত্রকোনা থেকে আগত হাফেজ আল-আমীন হোসাইনী, হাফেজ ক্বারী সাইদুল ইসলাম আসাদ প্রমূখ।
মাহফিল শেষে মাওলানা শুয়াইব আহমদ আশ্রাফীর সম্মানী ভাতা নিয়ে মাহফিল কমিটির সাথে বাক-বিতন্ড শুরু হয়। এসময় মাহফিল কমিটির পক্ষথেকে প্রশ্ন করা হয় তার সর্বোচ্চ সম্মানী ভাতা কত? একপর্যায়ে এলাকাবাসী এবং মাহফিলে আগত শ্রুতার ভিড়ে শোর-চিৎকারের কারণে কথা বলার জন্য আশ্রাফীকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের মাদ্রাসায়। তখন জনতার ভিড়ে তার গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয় কতিপয় মহল।
ঘটনা আশংকাজনক ভেবে আশ্রাফী ৯৯৯ এ কল করলে সেখানে পৌঁছায় দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মেজবাহ্ উদ্দিন। তিনি ও তার সঙ্গীয় ফোর্স সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উল্লেখ্য যে, হযরত মাওলানা শুয়াইব আহমদ আশ্রাফীকে মাহফিলে দাওয়াত করেন দক্ষিণ পোনরা আব্দুল কাদের চেয়ারম্যান (মনা গাজী) বাড়ি পাঞ্জেগানা মসজিদ ও যুব সমাজ এর পক্ষে মাহফিল কর্তৃপক্ষ। মাহফিলে আসার জন্য তাকে অগ্রিম ৫ হাজার করে দু’দফায় মোট ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে মাহফিল এর দিন সন্ধ্যায় ফোন আসে আশ্রাফীর খাদেম মাছুদ এর কাছ থেকে। তিনি জানান, তাৎক্ষণিক ভাবে হুজুরের বিকাশে ৪০ হাজার টাকা না পাঠালে তিনি আসবেন না। একপ্রকার বাধ্য হয়েই মাহফিল কমিটি টাকা পাঠায় আশ্রাফীর খাদেমের দেওয়া বিকাশ নাম্বারে। তখন খাদেম নিশ্চিত করেন তারা মাহফিল এ আসার জন্য রওনা হয়েছেন।
এদিকে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল কে কেন্দ্র করে মোট ৫০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে কপালে হাত মাহফিল কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষ মাহফিল শেষে বিয়ষটি সম্পর্কে জিজ্ঞেসাবাদ করেন আশ্রাফ কে। তখনি চড়াও হন আশ্রাফী ও তার সাথে থাকা খাদেমগম। এলাকাবাসী ও মাহফিল কমিটির পক্ষথেকে তাকে প্রশ্ন করেন স্থানীয় সাংবাদিক মেহেদী হাসান রিয়াদ এবং এলাকার মোড়াল হারুন-অর-রশিদ। পরে আশ্রাফী থানা পুলিশের সামনে সকল বিষয় স্বীকার করেন। তখন তিনি পুলিশের উপস্থিতিতে সেচ্ছায় তার নেওয়া ৫০ হাজার টাকা থেকে অর্ধেক, অর্থাৎ ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেন।
এ বিষয়টি নিয়ে কতিপয় একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে হযরত মাওলানা শুয়াইব আহমদ আশ্রাফীকে মারধর করা এবং তার গাড়ি ভাংচুর এর মত মিথ্যা বিষয় উল্লেখ্য করে নানান ধরনের গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
সামাজিক মানক্ষূন্ন হওয়ায় এলাকাবাসী এবং মাহফিল কমিটির পক্ষথেকে স্থানীয় সরকার চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
|
Leave a Reply