রায়হান রোহানঃ সামনে বসে সারি সারি কয়েকশো দর্শক র্যাম্প শো উপভোগ করছেন। স্টেজে চলছে সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অসাধারণ পারফরম্যান্স। এমন ভিন্নধর্মী আয়োজনে মাতছেন সবাই। বলছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের কালচারাল ফেস্ট’র কথা।
দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ২০১৯-২০শিক্ষাবর্ষের নবীনদের বরণ করে নেয় সংগঠনটি।
এদিন সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। র্যাম্প শো ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিল নাচ, গান, নাটক, কৌতুক, মুকাভিনয়সহ নানা আয়োজন।
অনুষ্ঠানে নেপাল ও জর্ডান থেকে আগত অতিথিরা র্যাম্প শো এবং নিজ ভাষায় গান পরিবেশন করেন। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিলো নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে দর্শক পর্ব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন, রুকসানা বেগম, শাহরিয়ার জামান, মো. মমিনুল হক, মো. জুলকার নায়েন, ড. মো. সুলতান মাহমুদ, সাদিকুল ইসলাম সাগর প্রমুখ।
এছাড়াও ছোট শিশুদের নিয়ে এই সংগঠনে কাজ করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে তারা মৌলিক চাহিদা পূরণের মাধ্যমে সমাজে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারবে। এভাবেই আজকের অবহেলিত শিশুরা আগামীতে দেশের জন্য অবদান রাখবে। তারাই একদিন সোনার দেশ গড়বে।
সংগঠনের সভাপতি খালিদ হাসানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসাইন, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক সাথী সাহাসহ সাবেক ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক ও উপদেষ্টামন্ডলী।
এসময় সংগঠনের সভাপতি খালিদ হাসান বলেন, নবজাগরণ ফাউন্ডেশন প্রতি বছরই এধরনের আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও নবীন শিক্ষার্থীদেও বরণ করে নেয়া হলো। আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করি। আশা করি এই সংগঠনের ছায়াতলে থেকে সেই সকল শিশুরা নিজেকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে। নতুন বছরে প্রতিবারের ন্যায় এবারও ২-৬ ফেবরুয়ারি স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করা হবে।
নবজাগরণ ফাউন্ডেশন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০১২ সালে কিছু স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরে যাত্রা করে সংগঠনটি। তারা সকলেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালে নবজাগরণ ‘বিদ্যানিকেতন’ নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেখানে পথশিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে শিশুদের পরিবারে গিয়ে তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কাজ করে যাচ্ছে নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা