সুব্রত কুমার, ডেক্স রিপোর্টারঃ- কিছু অসাধু চক্রের হাতে দেশের নিত্যপণ্যের বাজার।এ চক্রের কারসাজিতে অতি প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম একের পর এক বাড়ছে। পেঁয়াজের বাজার সামাল করে রাখার পর চক্রটি এখন হাত দিয়েছে চালের বাজারে । দেশে যখন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ঠিক তখনি কিছু অসাধু চক্রে চালের বাজার নিয়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভোক্তারা। নিম্নবিত্ত তো বটেই, মধ্যবিত্তেরও আয়ের সব টাকা চলে যাচ্ছে খাওয়া খরচে।ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। একই চাল গত কয়েক দিন ধরে যে দামে বিক্রি হয়েছে তা গত দুই দিন থেকে প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় ৪৫০-৫০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আড়ৎদার বলেন মিল মালিকদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা যোগাযোগ করে দাম বাড়িয়ে দেয় আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তিনি জানান (খোলা) প্রতি কেজিতে চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৭ টাকা।
এদিকে আজ আজ বুধবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘সারা বিশ্ব এখন করোনা আতঙ্কে নিমজ্জিত। এটাকে পুঁজি করে চালের দাম না বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানাই। কোনও ব্যবসায়ী কারসাজি করে চালের দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ন্যূনতম ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা থাকলে কোনও অবস্থায় এই সমস্যাকে পুঁজি করে কোনও ব্যবসায়ী দাম বাড়াতে পারে না।
ক্রেতাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নাই। সরকারের গুদামে চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে।’
অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের দাম না বাড়ানোর এ আহ্বান শুনবে কিনা- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে সরকারের গুদামে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০ মেট্রিক ট্রন চাল মজুদ আছে। এক মাস চার দিন পর নতুন বোরো ধান উঠতে শুরু করবে। ভয়ের, আতঙ্কের কোনও কারণ নাই।’
কিন্তু বাজারে গিয়ে সাধারন দিন মজুরা চাল কিনতে গেলে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে এক চাল ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গতকাল দাম দেখে গেলাম এক কিন্তু আজ দেখছি অনেক বেশি, কিন্তু অপাই নেই চাল তো কিনতেই হবে।