নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেসরকারি পর্যায়ে মানব সেবায় গরিব, দুঃখি ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রতিষ্ঠিত “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন”। এটিকে বলা হয় গরীরের সম্বল। করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে এলাকায় সচেততা মূলক লিফলেট থেকে শুরু করে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং অসহায়দের মাঝে বিনামূলে খাবার ও ত্রাণ বিতরণেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন”।
বেসরকারি ও ব্যক্তিক অর্থায়নে অসহায়দের মাঝে বিনামূলে খাবার ও ত্রাণ বিতরণেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
“দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন” এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জামাল হোসেন সরকার জানান, গরিব, দুঃখি ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। আমি এবং “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন” সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, মানব সেবার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালে দেবিদ্বার পৌর এলাকা ছোটআলমপুরে ‘দেবিদ্বার রূপসী বাংলা মডেল স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। দেবিদ্বার রূপসী বাংলা মডেল স্কুলে স্বল্প খরচে সকল শিক্ষার্থীদের পড়া-শোনা এবং গরিব ও অসহায় শিশুদের বিনা মূল্যে শিক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে। গরিব ও অসহায় শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি বিনামূলে বই ও শিক্ষা বৃত্তি পেয়ে থাকেন।
জানা গেছে, চলতি বছরে “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন” কর্তৃক পরিচালিত দেবিদ্বার রূপসী বাংলা মডেল স্কুলে ৫২ জন শিক্ষার্থী বিনা বেতনে এবং প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী অর্ধ বেতনে শিক্ষার্জন করছে।
করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষা পেতে গৃহবন্দী অসহায় মানুষদের ত্রাণও বিতরণ করেছে “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন”।
দেবিদ্বার সরকারি কলেজের ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা অদু মিয়ার স্ত্রী জানান, আমাদের এই দুর্যোগময় অবস্থায় “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন” এর পক্ষ থেকে ত্রাণ পেয়ে কতটাযে উপকৃত হয়েছি তা বলে বুঝাতে পারবো না। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জামাল আমাদের ছোট ভাই। তার জন্য আমরা দোয়া করি। সে যেন মানুষের পাশে সব সময় থাকতে পারে।
দেবিদ্বার সরকারি কলেজ মসজিদের মুয়াজ্জিন মোঃ মুজিবুর রহমান জানান, আসলে আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। আমাদের অবস্থা কেউ বুঝতে চায় না। “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন” আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমাকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এবং আমার ঘরে যেন কেউ না খেয়ে থাকতে হয় তার জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করেছে। আল্লাহ্ “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন” এর মঙ্গল করুক।
এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন চলাকালে সরকারি অনুদান গরিব ও অসহায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নামের তালিকা করা হয়েছে। তারা যেন ঘরে বসে সরকারি অনুদান পেয়ে যায় এবং কোনো প্রকার ভোগান্তি না পোহাতে হয় সে দিকে বিশেষ নজরদারি করছেন।
এছাড়াও “দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন” এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসহায় শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে তাদের লেখাপড়ার বিষয়ে আলোচনা করে বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
“দেবিদ্বার রূপসী বাংলা ফাউন্ডেশন” এর উপদেষ্টা মন্ডলি সদস্য রাহিমা ইসলাম এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, করোনার ভাইরাসের মতো দুর্যোগের মধ্যেও আমাদের মানব সেবা চালু রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে অসহায়দের সাহায্য সহয়োগীতায় আমাদের ফাউন্ডেশন একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন।