মহিউদ্দিন মিশু
প্রথম দেখায় মনে হবে কোন পথযাত্রী রেলপথের পাশে দাঁড়িয়ে চলন্ত ট্রেন দেখছে। মুহূর্তে পাল্টে যায় তাদেরচেহারা। একজন, দু’জন নয় ওরা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী। সুযোগ বুঝেই নেমে পড়ে ছিনতাই কাজে। ছুঁ মেরে কেড়ে নেয় মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ ট্রেনযাত্রীর মূল্যবান সামগ্রী। অনেক সময় লাঠির আঘাতে মারাত্মক আহত করে ফেলে ট্রেন যাত্রীদের। আবার মালামালের সঙ্গে চলন্ত ট্রেন থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাতে গুরুতর আহতও হয়েছে কেউ কেউ।
হ্যা, বলছিলাম চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের আখাউড়া উপজেলার ‘নয়াদিল’ আউটার স্যিগনাল এলাকা কথা। সেখানে নির্মাণাধিন রেলওয়ে ব্রীজের কাছে আন্তঃনগর ও মেইল চলন্ত ট্রেনে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
সোমবার দুপুরের ঘটনা, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের দরজার পাশে দাঁড়িয়ে এক যাত্রী মোবাইলে কথা বলছিলেন। ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে প্রবেশের আগে নয়াদিল এলাকার আউটার সিগন্যাল ব্রীজের কাছে আসা মাত্র পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় পেশাদার ছিনতাইকারী সাদ্দাম (২০) কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছুঁ মেরে আরিফ বিল্লা নামের এক ট্রেন যাত্রীর মোবাইল ফোন টান দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় মোবাইল ফোনসহ ওই ট্রেন যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে ছিটকে নিচে মাটিতে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হন। স্থানীয়রা আহত ট্রেন যাত্রীকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সে কুমিল্লা চানপুর এলাকার কালাম কান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শ্যামল কান্তি দাস আহত ট্রেন যাত্রীকে চিকিৎসা দেন এবং তার স্বজনদের খবর দিয়ে আরিফকে তুলে দেন। আজ (বুধবার) সকালে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী সাদ্দামকে নয়াদিল এলাকা থেকে আটক করে আদালতের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠায় রেলওয়ে পুলিশ।