বিল্লাল হোসেনঃ
কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগ’র নবনির্বাচিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এম, হুমায়ুন মাহমুদ তার ক্ষমতাসীন দলের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং দলকে বিএনপি, জামায়েত সহ স্বাধীনতা বিরোধীদের অনুপ্রবেশ মুক্ত করায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জানাতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে দেবিদ্বার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ওই মতবিনিময় সভা করা হয়।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগ’র নবনির্বাচিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এম, হুমায়ুন মাহমুদ, বলেন, আ’লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাছিনা যখন বুঝতে পারলেন, দেশের বিরাজমান সংকটে দলে অনুপ্রবেশকারীদের দাপট, অনিয়ম, দূর্নীতি সহ নানা অপরাধ সংগঠনে দলের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে,- তখন তিনি অনিয়মকারী, দূর্নীতিবাজ ও দলে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স ঘোষণা করেন। সাথে দলের মধ্যে তৃণমূল পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ে কমিটি নির্বাচনে শুদ্ধী অভিযানে অনুপ্রবেশকারী মুক্ত, ত্যাগী ও সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্ব দেন। আপনারা দেখেছেন, তারই ধারাবাহিকতায় ক্যাসিনো অভিযান সহ বিভিন্ন অনিয়ম- দূর্নীতি রোধে কাজ চলছে।
আ’লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রতি কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের ২৭ সদস্যের নতুন আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেন এবং একই সাথে কুমিল্লা উত্তর জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করারও তাগাদা দেন। ওই আহবায়ক কমিটিকে থানা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন কমিটিগুলো গঠনে অনুপ্রবেশকারী, দূর্নীতিবাজ মুক্ত ত্যাগী ও সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করার নির্দেশ দেন। তারই আলোকে দেবিদ্বার সহ বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন, পৌরসভার কমিটি গঠনে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেয়া পূর্বপর্যন্ত বিরত থাকার নির্দেশ দেই। আর যে সব ইউনিয়ন ও থানা কমিটি গঠন হয়েছে সেগুলোতে বিএনপি, জামায়েত সহ স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহ্নীত করে তাদের বের করে ত্যাগী সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য জেলা কমিটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি বাছাই কমিটি ঘোষণা করেন। ওই কমিটি ২/১দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে।
নেত্রী বলেছেন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভার কমিটি গঠনে বিএনপি, জামায়েত সহ স্বাধীনতা বিরোধীদের দলে যুক্ত করা থেকে বিরতই নয়, স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের কাউকে দলের সদস্য করা যাবেনা।
তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জাবাবও দেন। এক পর্যায়ে বলেন, পূর্বের জেলা কমিটি গঠনে নেতারা ২৫ লক্ষ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে প্রস্তাবিত কমিটিতে স্বাক্ষর করিয়েছেন। এ নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করতে হবে। এ কারনে টাকাওয়ালা অনুপ্রবেশকারীদের দলে ঢুকতে দেয়া হবেনা, ত্যাগী নেতারা তাদের ভীড়ে পেছনেই পড়ে থাকছেন। দেবীদ্বারের ৩১ সদস্যের একটি আ’লীগের কমিটিতে ১৮জনই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছা সেবক লীগ সদস্য রয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটিতে বিএনপি, জামায়াতের লোকদের যুক্ত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ত্যাগী নেতারা অনেক সময় ভয়েও আসেন না। নেত্রী আমাদের দায়িত্ব দিয়ে বলেছেন, কমিটি গঠনে কোথাও বাঁধার সম্মূখীন হলে নেত্রীকে জানাতে।
তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেবিদ্বার উপজেলা কমিটিতে ভুত ভর করেছে। তাই ২৪বছর সম্মেলন হচ্ছেনা। এবার ভুত তাড়িয়ে উপজেলা সম্মেলন করতে হবে।
উক্ত মত বিনিময় সভায় উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ভিপি আব্দুল মতিন মূন্সী, শ্রমিক লীগ নেতা মমতাজ উদ্দিন ছাড়াও ১১ নং রাজামেহার ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রার্থী মোঃ জসিম সরকার,নজরুল মেম্বার,নজির আহমেদ সরকার,মোছ-কামালসহ জেলা, উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের আ’লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।