এম.জে.এ মামুন
ইয়াকুব হাসান সোহেল(৫) এর বাবার পরিচিতি নাম-মো: মহসিন হোসেন, পিতা- আ: কুদ্দুছ, সাং- ছোট আলমপুর, থানা দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা। তার মাতার পরিচিতি নাম- সাথী আক্তার, পিতা- মো: নাছির উদ্দিন, সাং- গোপালনগর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা।
জানা যায় গত ২০১৩ সালে কোন এক সময় পারিবারিক সম্মতিক্রমে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক মহসিন এবং সাথীর বিয়ে হয়। ২৪/১২/২০১৪ইং তারিখে তাদের ঘর আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিছু দিনের মধ্যে সাথী তার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুরীর অবাধ্য হয়ে উঠে এবং যা এক সময় চরম পর্যায়ে পৌছাঁয়। সে শ্বশুরালয়ের কারো ত্বোয়াক্কা না করে অবাদে চলাফেরা করতে থাকে, যা সামাজিক ভাবে সমালোচিত হতে থাকে। এই বিষয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং বাকবিতন্ডা করে। জানা যায় গত ১৭/০৪/২০১৭ইং তারিখ রাতে সাথী শিশু ইয়কুব’কে নিয়ে শ্বশুরালয় থেকে পালিয়ে যায়।
শিশু ইয়াকুবের দাদা আ: কুদ্দুছ জানান পুত্রবধু শিশুটি’কে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর সম্ভাব্য সকল স্থানে খুজাখুজি করিয়া তাকে তার বাবার বাড়িতে পাই। তার কাছে পালিয়ে আসার কারন জানতে চাইলে সে এবং তার বাবার বাড়ির লোকজন আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ফিরে এসে গত ১৮/০৪/২০১৭ইং তারিখে দেবিদ্বার থানা একটি সাধারণ ডায়রী করি, যাহার জিডি নং-৬২৫।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিবাহের পর কিছুদিন ভালো কাটলেও সাথী শ্বশুরালয়ে সকলের অবাধ্য হওয়া এবং পালিয়ে যাওয়ার মূলে যিনি কলকাঠি নেড়ে একটি সংসার ধ্বংস করেছেন তিনি সাথী’র ফুফু। নাম- আসমা আক্তার আঁখী, স্বামী- হারুনুর রশিদ। পরে তার ফুফু তাকে ফুসলিয়ে আজেবাজে কথা বলে তাকে উসৃঙ্খল করে তোলে এবং এক পর্যায়ে সাথী শ্বশুরালয়ে সবার অবাধ্য হয়ে উঠে।
ইয়াকুবের বাবা মহসিন জানান সাথী’কে স্ত্রী’র মর্যাদায় ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তাকে আমাদের বাড়িতে আসতে বললে সে আর আমার সংসার করবেনা বলে যানায়। সে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল। মুসলিম আইন অনুযায়ী পিতাই অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আইনগত অভিভাবক আর মা হচ্ছেন সন্তানের জিম্মাদার মাত্র। সেই বিষয়টি চিন্তা করে আমি আমার ছেলেটির ভরন পোষনের জন্য প্রতি মাসে তার মায়ের কাছে টাকা পাঠাতাম। বছর খানেক পর সাথী যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। যোগাযোগের চেষ্টাকরে ব্যর্থ হয়ে আমি তাকে ডিভোর্স দেই।
ইয়াকুবের দাদা কান্না জরিত কন্ঠে জানান অনেক দিন আমার নাতি’র কোন খবর জানতে পারিনি, দেখতেও পারছিনা। অনেক অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছি সাথী শিশুটিকে নিয়ে গাজীপুর জেলা’র জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন উত্তর বিলাসপুর সাফরা মসজিদ এলাকায় আ: বারি কন্ট্রাকটর এর বাড়িতে বসবাস করছেন। বর্তমানে সে পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার ব্যক্তিগত ব্যস্ততার করনে সঠিক ভাবে শিশু ইয়াকুবের দেখভাল করছেনা।সে তার মায়ের কাছে অবহেলিত। এতে শিশুটির আগত ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
তিনি আরও জানান ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে সাথীর সাথে যোগাযোগ করা হলে সে পরিচয় জানতে চায় এবং পরিচয় দেওয়ার পর অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ফোন কেটে দেয়। অনেক চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন অনেক চেষ্টা করেও আমার নাতি ইয়াকুবের কোন খবর জানতে পারছি না। তার বয়স এখন প্রায় পাচঁ বছর। ভবিষৎ বিবেচনায় তার এখন লেখা-পড়া শুরু করা প্রয়োজন। তার মায়ের কাছে থাকলে সঠিক শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে শিশু ইয়াকুব।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন আমার বংসের প্রদীপ, ওয়ারিশ আমার নাতি ইয়াকুব। তার সুন্দর ভবিষ্যৎ এর দ্বায়িত্ব আমাদের। শিশু ইয়াকুব কে ফিরে পেতে চাই। আইনসৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর নিকট বিনীত অনুরুধ করছি তার ভবিষ্যৎ চিন্তা করে উদ্ধার পূর্বক আমাদের নিকট ফিরিয়ে দিন।