মহিউদ্দিন মিশু, আখাউড়া
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার রেবতী মোহন দাস বলেছেন, পূর্বোত্তর ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যেসহ ভারতের কিছু কিছু অংশে উগ্রপন্থীরা বাংলাদেশের তৎকালীন একটি সরকারের সেলটারে থেকে ওই অঞ্চলে হামলা চালাত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সীমান্তঘেষা বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি থেকে সিলেট পর্যন্ত উগ্রপন্থীদের ক্যাম্পগুলো গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ এখন খুব শান্তিতে আছেন ।
শুক্রবার দুপুরে ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের দুই দিনের সম্মিলনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ারকালে আখাউড়া স্থলবন্দর নো-ম্যান্সল্যান্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে আরও বলেন, এ ঋণ অর্থের বিনিময়ে শোধ করা সম্ভব নয়। এটা মানবতাবোধ। এসময় স্পিকার বলেন, ত্রিপুরা বাংলাদেশের পরীক্ষিত নিকটতম প্রতিবেশি রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরাসহ এ অঞ্চলের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। দু’দেশের সীমান্ত হাটের মধ্যদিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হউক। ভারতের বিমানবন্দর বাংলাদেশিরা ব্যবহার করুক। চিকিৎসা সেবা নিতে বাংলাদেশিরা ত্রিপুরাসহ ভারত আসুক। ভারত চায় বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত পথে একটি করিডোর হউক। আর এতে ভারতের উল্টর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো আরও উপকৃত হউক। ভারতের সঙ্গে এ সম্পর্ক আরও নিবিড় আরও ঘনিষ্ঠ হউক।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভভুত রেবতী মোহন দাস বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকোট গ্রামের সাবেক বাসিন্দা আমি। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলাদেশের মানুষ কাছে পেলে খুব আপন জন মনে হয়। আর দু’দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মধ্যদিয়ে একটি সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কেও বাস্তবায়নের জন্য আমাদের বাংলাদেশে এ সফরে আসা। বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি সংসদের উদ্যোগে ২ ও ৩ নভেম্বর সংসদের সাধারণ সভা, সম্প্রীতি সম্মিলনী এবং মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিনিধি দলের অন্যান্যরা হলেন ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের সভাপতি বিধায়ক আশিষ কুমার সাহা, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাণিত দেব রায়, আগরতলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, আগরতলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রণব সরকার, সুদ্বিপ রায় বর্মণ, শান্তি দেব রায়, অশিদ ভৌমিক, সাংবাদিক মোসাহিদ আলি, ডা. মোস্তফা কামাল, কারণ গুপ্ত, শঙ্কর বঙ্গোপধ্যায় প্রমুখ।