রায়হান রোহানঃ
আমাদের জীবনাটা এক দীর্ঘ সংগ্রাম এর মধ্যে দিয়ে এই জায়গা এসে দাড়িঁয়েছে। আমি,সোহেল তাজ ও মেয়র লিটন বিভিন্ন সময়ে একত্রিত হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।
বিএনপি জামায়াত সরকারের হাতে ঢাকা প্রেস ক্লাবের সামনে আমি আর সোহেল তাজ একসাথে লাঞ্ছিত হয়েছি।
বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের দুষ্টু গ্রহ। এদের জন্ম হয়েছিলো জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। আর জিয়া হলো বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং চার নেতা হত্যার নীল নকশাকারী।
’এমনটাই মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজের আয়োজনে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে নাসিম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরপরই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল হত্যার কারণ খতিয়ে দেখা, বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু তারা তা না করে বেঈমানী করেছে বাংলাদেশের সাথে এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে।
জাতীয় চার নেতা এই হত্যার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই খুনীরা গুণে গুণে চারজন বীরকে হত্যা করে। এবং ১৯৭৫ এর পর আমরা খুব কষ্টে দিন কাটিয়েছি। আমাদের দাড়াঁতে দেয় নি এই চক্রের খলনায়করা। ইতোমধ্যে বিচার হয়েছে হত্যার।
তবে চক্রান্তকারীসহ খলনায়কদের বিচার এখনো হয় নি। আইনবিদদের নিকট আবেদন থাকবে সেই বিচার করুন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা আমাদের পিতার কাছ থেকেই আমাদের সব জানা, বুঝা, দেখা।
রাজনীতি শেখাও হয়েছে জাতীয় বীরদের কাছ থেকে। তবে ১৯৭৫ এর পর রাজনীতি করা কঠিন ছিলো। আমি ভারত থেকে এসে দেখি রাজশাহী তখনকার সময়ে কাটায় ভরা, কোথাও গোলাপ ছিলো না। মরুভূমি হয়ে গিয়েছিলো রাজশাহী।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক এম মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মুহাম্মদ জাকারিয়া।
আরো ও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু সহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।