উড়ে যাওয়া সাদা পাখির ঝাঁকের মতো উদাসী দেহ তোমার-
উড়ে বেড়াও এই হৃদয় চিলেকোঠার আশেপাশে ;
স্তব্ধ উদ্ভিদের মৌন মিতালীতে, নির্বাক আমি চেয়ে থাকি ভীষণ মুগ্ধতায়!
পরম স্নিগ্ধতায় জামরুলের পশমি ফুলের নিখাদ উষ্ণতা ভরা চাহনিতে-
আমি ডুবে যাই ডুবন্ত লাল সূর্যের মতো!
দিনের চরম হিসেবী মেয়ে তুমি, আমাকে দেখে বুঝতে পারো না! কতোটা ঢেউয়ের গর্জনে দোলে সব সাগর উপত্যকা?
দিন শেষে এই রাত্রির শরীরে শুধু,বিষাদ ই দিতে পারলে স্বপ্ন ভাঙার!
তবু আমার নিটোল হৃদয় ;তোমাকে ছোঁয়ার দীপ্ত প্রত্যয়ে বেঁচে থাকে গোপন গভীরতায়।
নীরব বিস্ময়ে নড়তে নড়তে বক-ডাকা হেমন্তের আকাশে আমি আগে কখনো এমন সত্যতা দেখিনি,
এতোটা প্রাচুর্যে ঢাকা অগ্রহায়ণের চাঁদ!
এতোটা রেশমি গন্ধে মুখর শস্যখেত!
দেখিনি! দেখিনি!!
সভ্যতার স্পর্শে বেড়ে উঠা এযুগের যুবক আমি;
স্পর্শকাতর বাতাসে তলিয়ে যেতে পারিনা-
নইলে-
নইলে – তোমাকে ছিনিয়ে নিতাম আগুন-পৃথিবীর বাহিরের ভুবনে;
যেখানে সভ্যতা মানুষকে কর্মকানুন শেখায়;
সূর্য মানুষকে নিশীথের পরিবর্তন শেখায়।