এআই রবি,বাঘা(রাজশাহী)
প্রতিনিধি: বাঘা পৌরসভার পূর্ব সীমানা
প্রাচীরেই শোভা পেলো মানবতার দেয়াল। মানবতার দেয়াল এর সৃষ্টি উদ্যোগকারীরা অনেকেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী, কেউ আবার ব্যবসা, কয়েকজন আছেন চাকুরীজীবি, সংঙ্গে আছেন সাংবাদিকও।
বাঘার এক সময়ের সিনিয়র সাংবাদিক, বর্তমানে চাকুরীজীবি
মোঃ মাসুদ রানা তার উদ্দোগেই আলোচনা শুরু হয় এই মানবতার দেয়াল তৈরীর। মাসুদ রানার মহৎ
উদ্দোগের সথে সহমত পোষন করে সাথে আছে রাসেল আহম্মেদ সূর্য্য,
পারভেজ টেলিকমের প্রোঃ পারভেজ মাহমুদ। সকলে মিলে নিজদের লেখাপড়া, ব্যবসা ও চাকুরীর
পাশাপাশি তারা এগিয়ে আসেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে। তারা সবই করেন নিজের পকেটের
টাকায়। এ সব সমাজ সেবার কাজে কারও কাছ থেকে কোন প্রকার চাঁদা বা অনুদানও নেয়নি তারা।
পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তারা এবার হাতে নিয়েছেন মানবতার দেয়ালের কর্মসূচি।
২০১৯ সালের ৮ডিসেম্বর থেকে তাদের এ নতুন কার্যক্রমে শুরু
হয়। ‘আপনার অব্যবহৃত একটি বস্ত্র, হতে পারে কারো লজ্জা বা শীত নিবারণের অস্ত্র’ এই
প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাঘা পৌরসভার পূর্ব সীমানা প্রাচীরের দেয়ালই ‘মানবতার দেয়াল’
এর কার্যক্রম শুরু করে। এই মানবতার দেয়াল উদ্ভোধনের
সময় উপস্থিত ছিলেন বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ শাহিনুর রহমান পিন্টু, মোঃ মহিদুল
ইসলাম, সভাপতি বাঘা উপজেলা জাতীয় পার্টি ও শ্রমিক ইউনিয়ন, মোঃ লতিফ আলী, সভাপতি দলিল
লেখক সমিতি, সাংবাদিক এম ইসলাম দিলদার, আল-আমীন, অন্তর, ফজলু, মিন্টুসহ আরও অনেকে।
উদ্যোক্তা মোঃ মাসুদ রানা বলেন, মানবতার দেয়ালে বিত্তবানরা তাদের অপ্রয়োজনীয় জিনিস
রেখে যেতে পারবেন এবং সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেতে পারবেন অসহায় সুবিধাবঞ্চিতরা।
মানবতার দেয়াল প্রসঙ্গে প্যানেল মেয়র মোঃ শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, আমাদের সবারই
উচিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মোঃ রাসেল আহম্মেদ সূর্য্য ও মোঃ পারভেজ জানায়, আমাদের
সমাজে অনেক দুস্থ্য অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষ আছে যারা কষ্ট করে! কিন্ত কারও কাছে কিছু
চাইতে লজ্জাবোধ করে।
সুবিধাবঞ্চিত সেই সব মানুষদের মুখে হাসি ফুটানোই ‘মানবতার
দেয়াল’ এর উদ্দেশ্য। মানবতার দেয়াল প্রতিষ্ঠার
মাধ্যমে যদি একজন মানুষও উপকৃত হয় তবেই এটির সার্থকতা।