স্বামীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্ত্রীর!
1 min readপটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে স্বামীকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে স্ত্রী। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের কলাতলা আকন বাড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে। শনিবার নিহত মোঃ রাকিব ইসলামের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং স্ত্রী মীম আক্তার (২২) কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহামাদ মাইনুল হাসান জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে মীম আক্তার নামের এক নারী পটুয়াখালী সদর থানায় এসে দাবি করেন তিনি তার স্বামীকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে এবং ওড়না দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। মীমের দেয়া তথ্য মতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত রাকিবের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং মীমকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মীম জানায় গত কোরবানীর ঈদের তিন দিন আগে শহরের কলাতলা আকন বাড়ির ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ রাকিব ইসলাম (২২) এর সাথে মীমের বিয়ে হয়। মীম সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের জুয়েল আকনের মেয়ে। বিয়ের পর থেকে পরকিয়া করার সন্দেহে প্রায়ই রাকিব মীমকে মারধর করতো। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডার হলে মীম তার বাবার বাড়ি চলে যায়। শুক্রবার দুপুরে নিহত রাকিব তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে । আসার পথে আবারও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার জের ধরে বিকেলে রাকিব ঘুমিয়ে পড়লে মীম তাকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে ও ওড়না গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
রাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসরের সময় রাকিব ও মীম বাসায় আসছে। আমি আসরের নামাজ পড়তে গেছি। নামাজ পরে এসে দেখি তারা বাসায়। আমার ছোট ছেলে এসে বলে বড় ভাইয়ের (রাকিব) গলার মধ্যে কেমন যেন শব্দ করে। এ খবর শুনে আমি মীমদের ঘরে গেলে মীম জানায় রাকিব ঘুমাচ্ছে। এ কথা শুনে ফিরে আসি। পরে আমি মাগরিবের নামাজ পরে ফিরে আসার পর ছোট ছেলে জানায়, রাকিবকে মেরে ফেলছে।’ তিনি তার ছেলের হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করেন।