রাজউক ইমারত পরিদর্শক সুমনের ভবন মালিকদের জিম্মি করে ঘুষ দুর্নীতি
1 min readনিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জোন-৬/১ এর ইমারত পরিদর্শক সুমনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি ময়মনসিংহ’র এক আওয়ামী লীগের নেতার সুপারিশে রাজউকে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। রাজউকে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছেন তিনি। তার দায়িত্বাধীন গোড়ান পূর্ব, দক্ষিন ,হাওয়াই ও ছায়বীথি গলির আংশিক এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের ত্রুটি বের করে ভবন মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন ইমারত পরিদর্শক সুমন।
এছাড়াও কোন ভবন মালিক বা ডেভেলপার কোম্পানি অর্থ দিতে অস্বীকার করলে নোটিশ করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন তিনি। শুধু তাই নয়, অবৈধ ইমারত নির্মাণে সহযোগিতা করে দেয়া এবং অকুপেন্সী সনদ পাওয়ার অযোগ্য ভবনগুলোকে অবৈধভাবে অকুপেন্সী সনদ পাইয়ে দিয়ে ভবন মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কর্তা। এভাবেই চাকরি জীবনের বহু অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন ইমারত পরিদর্শক সুমন।
সরোজমিন গিয়ে কথা হয় একাধিক বিল্ডিং মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানির দায়িত্বরতদের সাথে। তারা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, আমরা রাজউকের কাছে জিম্মি হয়ে আছি! সুমন নামের এক ইমারত পরিদর্শক আমাদের ঘুম হারাম করে রেখেছে , সে টাকা ছাড়া কিছুই চিনে না। টাকা দিলে কাজ করা যায়, না দিলে নানান অজুহাতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলে। উক্ত সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়ার পরামর্শ চাইলে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন এই কর্তা।
বিল্ডিং মালিক ও ডেভেলপার কোম্পানির দায়িত্বরতদের এহেন অভিযোগের বিষয় ইমারত পরিদর্শক সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, অভিযোগের বিষয় কোন সতউত্তর না দিয়ে, বিভিন্ন বিষয় উল্টো প্রশ্ন জুড়ে দেন এ প্রতিনিধিকে। একপর্যায়ে ৬ জোনে কর্মরত সকল ইমারত পরিদর্শকদের তার রুমে ডেকে প্রতিনিধিকে হেনস্তা করার পায়তারা চালান। এবং তার কথিতমতে তাদের ৬ জোনের মিডিয়া উইং হিসেবে ইমারত পরিদর্শক ফিরোজ আলম এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি নাকি সকল বিষয় মিডিয়ার সাথে কথা বলে থাকেন।
৬ জোনের ইমারত পরিদর্শক ফিরোজ আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ প্রতিনিধিকে সাবেক চ্যানেল আই এর রিপোর্টার ছিলেন মর্মে পরিচয় প্রদান করে বলেন,নানান জনের নানান অভিযোগ থাকে। অনেক সাংবাদিকদের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। আপনি নতুন রাজউকে এর পূর্বে কখনো দেখিনি তাই তথ্য দেয়া যাবেনা।
অনুসন্ধানে জানাযায়, রাজউকের ৬ জোনের ইমারত পরিদর্শকদের সকল দুর্নীতি অনিয়মের শেল্টার দাতা হিসেবে কাজ করছে ইমারত পরিদর্শক ফিরোজ আলম। তার নেতৃত্বেই এই জোনে সকল অপকর্ম ঘটে থাকে, যেমন ফাইল এদিক সেদিক করা, কাকে কিভাবে চাপ প্রয়োগ করলে অর্থ উঠে আসবে এসব পরামর্শ,মিডিয়া জনিত কোন সমস্যা হলে সেটিও তিনি মিডিয়ার পরিচয় দিয়ে মেন্টেনেস করেন। তার অগোচরে কিছুই ঘটেনা এ জোনে। এমনকি কোন সাংবাদিক তাদের দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করলে ফিরোজ আলমের নির্দেশে সিন্ডিগেট বাহীনি দিয়ে গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেন না।