২১ নভেম্বর, ২০২৪

ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

কালিয়া পৌর ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা বাণিজ্য

1 min read

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজস্ব সার্কেল নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা ভূমি অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন কালিয়া পৌর ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের দপ্তর এখন পরিণত হয়েছে ব্যাপক ঘুষ দূর্নীতি আর রমরমা বাণিজ্যের অভয়ারণ্যে। প্রতি কর্মদিবসে তাকে দেখা যায় দালাল পরিবেষ্টিত অবস্থায় রাত ৮ টা পর্যন্ত অফিস করতে। নামজারীতে সমস্যা আছে বলে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে টেনে নেন ৩ হাজার থেকে শুরু করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৫ বা ২০ হাজার টাকা। ভায়া দলিলের ক্ষেত্রে হাতিয়ে নেন ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। পোস্ট অফিস পাড়ার ভূক্তভোগী একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন আমার নামের বানান ভুল আছে বলে আমার কাছ থেকে ডিসিআরএর টাকা বাদেও হাতিয়ে নিয়েছে ১০ হাজার টাকা।

মূলত এখানে ঘুষ ছাড়া মেলেনা সেবা, নড়েনা ফাইল। রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষও নিশ্চুপ।রফিকুল ইসলামের মূল ধান্দা নামজারী, এপি, ভিপি, এলএ, পেরীফেরীভূক্ত, ফিরনিবাস বরাদ্দ নবায়ন। এছাড়া তদন্ত রিপোর্টের নামেও চলছে রফিকুল ইসলামের ব্যাপক রমরমা বাণিজ্য। আর এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডে তাঁকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে তাঁর সৃষ্ট সংঘবদ্ধ দালাল সিন্ডিকেট, তার কথিত সহকারী ও কতিপয় দলিল লেখক।অনুসন্ধানে দেখা যায় সে দালালদের সাথে নিয়ে দুপুর থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি অফিস করে থাকেন।
এসিল্যান্ড সাহেবের কঠোর নির্দেশ গ্রাহক ছাড়া কোনো দালাল ভূমি অফিসে ঢুকবে না। অথচ এই আদেশ তোয়াক্কা করছে না পৌর ভূমি কর্মকর্তা। তাই রাত ৮টা পর্যন্ত এ অফিসে দেখা যায় কথিত দালাল ও দলিল লেখক সমিতির কতিপয় লেখকদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফিকুল ইসলামকে দামদর করতে। একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেন রফিকুলের সাহেবের অফিসে দালাল বা দলিল লেখকদের না ধরলে এই অফিসে গ্রাহকদের কোনোভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়না।

এছাড়া বিগত শেখ হাসিনা সরকারের টানা অবৈধ শাসনামলে রফিকুল ইসলাম নিজেকে শেখ হাসিনার কাছের মানুষ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সন্তান পরিচয় দিয়ে তার কর্মস্থলগুলোতে নিজস্ব ক্ষমতার বলয় সৃষ্টি করে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। এতে ব্যক্তিগতভাবে পৌর ভূমি কর্মকর্তা লাভবান হলেও এসিল্যান্ডসহ সংশ্লিষ্ট ডিপার্মেন্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তাই এই অফিস থেকে ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে অনতিবিলম্বে অপসারণ ও তাঁর অবৈধ সম্পদের খোঁজ তল্লাশী নিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।।

এ বিষয়ে আগামীকাল থেকে ধাররাবাহিক প্রতিবেদন পড়ুন জাতীয় দৈনিক দেশবাংলা ও ক্রাইম নিউজ টোয়েন্টি ফোরে।।বিঃদ্রঃ তিনপর্বের এই ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রশ্ন আপনার লিখিত বক্তব্য আজ অতিসত্বর জানাবেন বলে আশাকরি।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »