মুরাদনগর প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর, আহত ১
1 min readমুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক জাপান প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আর এ হামলার ঘটনায় পরমতলা গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন মীর নামে এক প্রবাসী আহত হয়েছে। শনিবার উপজেলার পরমতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন মীর পরমতলা গ্রামের এম হোসেন মীরের ছেলে। হামলাকারীরা একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল আহম্মেদ, কাদের সরকারের ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম, ফয়েজ আলীর ছেলে আল আমিন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, পরমতলা গ্রামের জাপান প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন মীরের সাথে একই গ্রামের রাসেল আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম, আল আমিন গংদের সাথে গত ২০১৬ সাল থেকে এলাকার আধিপথ্য ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মীর বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই মাঝে আব্দুল্লাহ আল মামুন মীর জাপানে চলে যায়। ২০২৩ সালে ছুটিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন মীর বাড়িতে আসলে পূর্বশত্রুতার জেরে শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাসেল আম্মেদের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংঘবদ্ধ একটি দল চাপাতি, দা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন মীরের বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ সময় আসামীরা ওই প্রবাসীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আব্দুল্লাহ আল মামুন মীর বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন মীরের বোন তাকে উদ্ধার করতে এলে তাকেও এলোপাতারি পেটানো হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
প্রবাসী আব্দুল্লাহ আল মামুন মীর বলেন, আমি দেশে থাকাকালীন বিরোধী দলের রাজনীতির সম্পৃক্ত থাকার কারনে বর্তমান সরকার দলীয় নেতা রাসেল আহম্মেদ এর নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ৩ জনের সশস্ত্র সংঘবদ্ধ দল চাপাতি, দা, লোহার পাইপ নিয়ে আমাদের বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে ঘরের ড্রয়ারে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ও আমার বড় বোনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় ভাঙচুর করে বসত বাড়ীর ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাসেল আহম্মদ এর মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি হামলার সত্যতার কথা স্বীকার করে বলেন, মারাধরের ঘটনা ঘটেছে তবে লুটপাটের বিষয়টি সত্য নয়। মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে না, সরাসরি দেখা করেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে কোনা অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।