স্বাস্থ্য ডেস্ক:
ডায়াবেটিস রোগীদের ধূমপান বা যে কোনোভাবে তামাকের ব্যবহার যে তাদের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে— এ ব্যাপারে অনেক রোগীর তেমন ধারণা নেই। ডাক্তার সাহেব ধূমপান নিষেধাজ্ঞা দিলে তারা ভাবেন এটা অনেকটা সিগারেটের প্যাকেটে লেখা সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের অংশ। আবার অনেক ডাক্তার যারা নিজেরা ধূমপায়ী তারা সেভাবে জোর দিয়ে রোগীদের বারণ করতেও পারেন না। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শারীরিক ক্ষতি করার জন্য ধূমপান বা তামাক সক্রিয় থাকে। তামাক ও ডায়াবেটিস উভয়েই রক্তনালিকে আক্রমণ করে। ফলস্বরূপ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন হার্ট, কিডনি, ব্রেন, চোখ, আর স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তামাকের অভ্যাস ছাড়তে বলা যত সহজ তা করতে পারাটা কিন্তু মোটেও সোজা নয়। নিকোটিন আসক্তি এ জন্য দায়ী। কেউ কেউ মনে করেন যে পরিমাণ সিগারেট বা তামাক তারা ব্যবহার করছে, তার চেয়ে কিছুটা কমিয়ে দিলেই বোধহয় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। এ ধারণা মোটেও সত্য নয়। কেউ যদি তামাক পুরোপুরি না ত্যাগ করে তা হলে তার কোনো লাভ হবে না। তামাক থেকে যেমন ক্যানসার হয়, ডায়াবেটিস ও তামাকে অভ্যস্ত রোগী যে হৃদরোগ, স্ট্রোক, নার্ভ বা কিডনি জটিলতা, দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো জটিলতা হয়।
বিদেশে তামাক ছাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ বা ব্যবস্থা আছে, আমাদের দেশে সেগুলো খুব একটা চালু কিংবা জনপ্রিয় এখনো হতে পারেনি।
তাই আমরা চিকিৎসকরা রোগীর ইচ্ছাশক্তির ওপর জোর দিয়ে থাকি। রোগীকে বুঝতে হবে যে, সে যদি তামাক পুরোপুরি ছাড়তে না পারে, তবে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, ওষুধ, মেহনত এসবই পানিতে যাবে। সময় থাকতে তাই তামাক ছাড়তে হবে। একেবারে অন্তিম মুহূর্তে ছেড়ে কোনো লাভ হয় না।
লেখক: ডা. তরফদার মো. মুজতবা আলী, ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ, প্রাভা হেলথ, ঢাকা।
প্রধান সম্পাদকঃ সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান রিয়াদ
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৪/২৫, সাধারণ বীমা ভবন, দিলকুশা বা/এ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
হট লাইনঃ +880 1568 945 305