ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

কুমিল্লা থেকে সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদের স্ত্রী সাজেদা আক্তার

1 min read

মোঃমামুনুর রশিদ, কুমিল্লা:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাজেদা আক্তার মায়া।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন তিনি। কুমিল্লা অঞ্চল থেকে এ ফরম সংগ্রহ করেন এ নেত্রী।

গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদের স্ত্রী।

গত ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ এম হুমায়ুন মাহমুদ মারা যান।

বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী প্রয়াত অধ্যক্ষ এম. হুমায়ুন মাহমুদের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিবরণ দিয়ে তিনি সাংবাদিককে বলেন, আমার প্রয়াত স্বামী এম হুমায়ুন মাহমুদ ছাত্র জীবনে ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এজিএস পদে নির্বাচন, ১৯৭৫সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগ’র নেতৃত দান, ১৯৭৫ সালে কুমিল্লা ছোটরা নিজবাসায় আ’লীগ’র দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা, ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে ছাত্রলীগের মিছিলে নেতৃত্ব দান, ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত, ১৯৭৯-৮০ইং সালে ডাকসুতে কাদের-চুন্নু পরিষদের সদস্য প্রার্থী হিসেবে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত, একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’র সিনেটে ডাকসু কর্তৃক মনোনীত সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত, ১৯৮১সালে হোটেল ইডেনে আয়োজিত এক সভায় শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকেই আ’লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রবল দাবী উত্থাপন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে ওবায়দুল কাদের সহ ১১জনের একটি গোপন বৈঠকে অংশগ্রহন, ১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা কর্তৃক ধানমন্ডীর ৩২নম্বর বাসায় ডেকে নিয়ে দেবীদ্বার আ’লীগ’র হাল ধরার দায়িত্ব অর্পন, ১৯৯২ সালে আ’লীগের হাই কমান্ডের নির্দেশে কুমিল্লা উত্তর জেলার সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত, ২০১৬ সালের সম্মেলনে আ’লীগ উত্তর জেলার সহ-সভাপতি নিবাচিত, ২০০১ সাল থেকে বিএনপি-জামায়ত জোট সরকারের সময় আমার স্বামীর রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় কঠোর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬সাল পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা মামলার ৮টির মধ্যে ৭টিতে প্রধান ও ১টিতে ২য় আসামী করা এবং এলাকার শিক্ষার প্রসারে ১৯৯৪ সালে নিজ এলাকায় পিতার নামে সেরাজুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠা সহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তার সাথে সম্পৃক্ত সম্পৃক্ত আছি।

ব্যক্তিগত জীবনে সাজেদা আক্তার মায়া দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জননী এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »