ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

লটারীতে সিদ্ধ ডিম কেনা দ্বন্দ্ব; প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তলপেট কেটে যুবক আহত

1 min read

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেবীদ্বারে লটারীতে সিদ্ধ ডিম কেনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তলপেট কেটে তানভীর (১৮) নামে এক যুবক মারাত্মক আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। আহত তানভীরকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) রাত পৌনে ৮টায় উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের গোমতী নদীর ভেরী বাঁধের উপর। আহত তানভীর শিবনগর গ্রামের বাবুল মিয়ার পুত্র।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল সোমবার (২৯ জানুয়ারী) রাতে শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠানের পাশে হকারদের বিভিন্ন পর্ষদের দোকানের হাট বসে। এদের মধ্যে শিবনগর গ্রামের মিজান ও দয়াল দুই ভাই মিলে একটি সিদ্ধ ডিম বিক্রয়ের দোকানে লটারীতে সিদ্ধ ডিম বিক্রয় শুরু করে। লটারীতে ৫টি ডিম কিনে মোবাইল, ঘড়ি, নগদ টাকা, বিস্কুটের প্যাকেটসহ যে কোন পুরস্কার জিতে নেয়ার ঘোষণা দেয়। ঘোষনানুযায়ী আহত তানভীর ৫টি সিদ্ধ ডিম কেনেন, তাকে কোন লটারীর পুরস্কার না দেয়ায় সে ডিমের মূল্য ১০০ টাকা দিতে অস্বীকার জানায়। এ নিয়ে দু’পক্ষের তর্কযুদ্ধ এবং হাতাহাতি হয়। বিষয়টি মাহফিল কমিটির পক্ষ থেকে আজ সালিসে মিমাংসার আশ্বাসে তাদের বিরোধ শান্ত করে। দু’পক্ষের দ্বন্দ নিরসনে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনের আহবানে মঙ্গলবার রাত ৮টায় শিবনগর গোমতী নদীর ভেরীবাঁধের উপর মার্কেটে সালিস আহবান করেন। ওই সালিসে যোগদানের পথে গোমতী নদীর ভেরী বাঁধের উপরে একই গ্রামের প্রতি পক্ষের মোতালেব হোসেনের পুত্র মিজানুর রহমান(৪০) ও সাকিল আহমেদ দয়াল(১৯) তানভীরের পথ অবরোধ করে তার তলপেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।এবিষয়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ও সাকিল আহমেদ দয়াল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

৪নং সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূইয়া জানান, ঘটনার সময় আমি ঢাকা ছিলাম রাতে এসেছি, লটারীতে সিদ্ধডিম বাকীতে বিক্রয়ের পর আহত তানভীর ডিমের টাকা না দেয়ায় এবং লটারীর পুরস্কার মিজান ও দয়াল না দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মুনেছি।

দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নয়ন মিয়া ঘটনার সত্যা স্বীকার করে বলেন, সংবাদ পেয় ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তস্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »