ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

‘টাঙ্গাইল শাড়ী’র প্যাটেন্ট পেতে জরুরি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে -বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

1 min read

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ীর প্যাটেন্ট পেতে জরুরি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, এমপি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাননীয় মন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ীর প্যাটেন্ট পেতে জরুরি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা জরুরিভাবে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মিটিং করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতিঝিলস্থ পাট অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা হোসেন ও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কৃষকদের কাঁচা পাটের উপযুক্ত দাম নিশ্চিত করতে মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরত্ব বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক রয়েছে। এসব পণ্যে কেউ যদি প্লাষ্টিকের ব্যবহার করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরো জোড়দার করবেন। দেশব্যাপী সারাবছর  অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান পেক্ষাপটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সর্বদা পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।ফলশ্রুতিতে পাটকলসমূহ  নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে “রূপকল্প-২০৪১” বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

 মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পাটখাতেকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক করতে সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগি পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পাটখাতের অংশীজনদের নীতিসহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এখাতটি অসামান্য অবদান রাখছে।

বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Newsphere by AF themes.
Translate »