ভোরের জানালা

জনগণের কল্যাণে অগ্রদূত

২৭ কোটি টাকার নলডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন ধুলার রাজ্য!

1 min read

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি :

হাসপাতালে ভেতরে শুধু ধুলা আর ধুলা, এ যেন ধুলার রাজ্য! হাসপাতাল এখন যেন নিজেই অসুস্থ! ধুলায় খাচ্ছে প্রায় ২৭ কোটি টাকা। উদ্বোধনের প্রায় তিন বছর হতে চললেও নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা ৫০ শষ্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবল না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা শুরু হয়নি। ফলে হাতের কাছে সরকারী একটি আধুনিক হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার,নার্সসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। আর এই ২ লক্ষ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে মাত্র ২জন চিকিৎসক। অর্থের অভাবে হতদরিদ্র পরিবার জেলা বা বিভাগীয় শহরে চিকিৎসা করাতে পারছেন না অনেক রোগী।

এ বিষয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা দাবি করেছেন,খুব শীঘ্রই হাসপাতালটিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জানা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলা ৫০ শর্য্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘদিনেও পুরোপুরি না হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবা চালু হচ্ছিল না।এলাকাবাসীর দাবীর মুখে ও গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর ২০২১ সালের ২৭ জুলাই হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনের পর এখনও ডাক্তার, নার্স ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল এখনও নিয়োগ হয়নি। ফলে হাতের কাছে সরকারী একটি আধুনিক হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার, নার্সসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবলের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। অর্থের অভাবে হতদরিদ্র পরিবার জেলা শহরে বা বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে চিকিৎসা করাতে পারছেন না অনেক রোগী।

তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ২জন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে হাসপাতালটির শুধুমাত্র বহিঃবিভাগ চালু রেখেছে। এতে জনবলের অভাবে জরুরী বিভাগ ও রোগীদের ওর্য়াড চালু করা সম্ভব হয়নি। বিনা টাকায় সরকারী ছুটির দিন ব্যাতিত প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত বহিঃবিভাগে রোগী দেখা ছাড়া অন্য সেবা প্রদান করা হয়না হাসপাতালটিতে।

এর ফলে এই উপজেলার প্রায় ২ লক্ষ মানুষ সরকারী স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালটির ডাক্তার নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীর আবাসিক সুবিদার জন্য আলাদা আলাদা আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। মোট ২৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যায়ে হাসপাতালটি নির্মাণ করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আলেয়া বেগমসহ রোগীরা জানান, হাসপাতালটি ২ বছর আগে হইছে কিন্তু এখনও পুরো দমে চালু হয়নি। এখানে শুধু সামান্য ঔষুধ দেওয়া হয়। হাসপাতালটি চালু হলে আমাদের নাটোর-রাজশাহী যাওয়া লাগে না।

স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মী রাসেল মিয়া, রাশেদ আলম বলেন, বর্তমানে হালপাতালের অবস্থা বড়ই নাজুক, যেন ধুলার রাজ্য পরিনত হয়েছে। হাসপাতালটি পুরো দমে দ্রুত চালুর দাবি করেন তারা।

নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, হাসপাতালটি বর্তমানে ধুলো আর সাপের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে।হাসপাতালটি চালু পুরোপুরিভাবে চালু না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নলডাঙ্গাবাসী। এ বিষয় নিয়ে আমি বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছি, কিন্তু এখনও তার সুরাহা করা যায়নি। হাসপাতালটি দ্রুত চালু করে নলডাঙ্গাবাসীর সেবা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কামনা করেন তিনি।

নাটোর সিভিল সার্জন ডা.মশিউর রহমান বলেন, নলডাঙ্গা উপজেলা ৫০ বেডের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল অনুমোদন হয়নি। যার ফলে পুরোপুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এবং নাটোর জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিষয়টি নিয়ে উদ্ধতন কৃর্তপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন। আশা করছি খুব শীঘ্রই হাসপাতালটিকে জনবল অনুমোদন দিলেই স্বাস্থ্য সেবা চালু হবে।

উল্লেখ্য,২৬ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ২০১৮ সালে হাসপাতালটি নির্মান কাজ শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ। তা শেষ হয় ২০২১ সালের র্মাচ মাসে।

Please follow and like us:
স্বত্ব © ২০২৪ ভোরের জানালা | Developed by VJ IT.
Translate »